গতবারের মতো এবারও উপনির্বাচনে জোট-কৌশল অখিলেশ যাদবের
গোরক্ষপুর-ফুলপুরের কৌশলেই উপনির্বাচন জেতার ছক অখিলেশ যাদবের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উপনির্বাচনে বিজেপিকে ফের হারাতে জোট-কৌশল অখিলেশ যাদবের। গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে বিজেপিকে হারাতে অখিলেশ সঙ্গে নিয়েছিলেন মায়াবতীকে। সেই কৌশল খেটে গিয়েছে। এবার বিজেপিকে রুখতে জোট হল সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের।
কৈরানা লোকসভা আসনে আরএলডি-র চিহ্নে প্রার্থী হয়েছেন সপা-র তবসসুম হাসান।নুরপুর বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছে আরএলডি। শুক্রবার লখনৌয়ে আরএলডি-র সহ-সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে জোটের কথা পাকা করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ২৮ মে কৈরানা লোকসভা ও নুরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। দুটি আসনই বিজেপির দখলে। কৈরানায় সাংসদ হুকুম সিং ও নুরপুরের বিধায়ক লোকেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যুর কারণে ওই দুটি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সংখ্যালঘু ও দলিত ভোট এক জায়গায় আনতে চাইছেন অখিলেশ যাদব। আর সেজন্যই প্রার্থী করা হয়েছে তবসসুমকে। ২০০৯ সালে এই আসনেই সপার টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। কৈরানায় মুসলিম ও দলিত ভোটের উপরে নির্ভর করে প্রার্থীর জয়-পরাজয়। সেজন্য কংগ্রেসের সমর্থনও নিশ্চিত করেছেন অখিলেশ। আরএলডি-কে আসন ছাড়ার শর্ত দিয়েছিল রাহুল গান্ধীর দল। সেই শর্তেই মেনে নিয়েছেন মুলায়মপুত্র।
তবে অখিলেশের পরিকল্পনা সম্ভবত জল ঢালতে চলেছেন মায়াবতী। কারণ, কৈরানায় সপাকে সমর্থন দেবেন না বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন বিএসপি সুপ্রিমো। আর মায়াবতীর দিকে দলিত ভোট চলে গেলে সুবিধা হবে বিজেপির। যদিও 'পিসি' মতবদল করবেন বলে আশাবাদী 'ভাইপো'।
আরও পড়ুন- ইভিএম-এর জন্যই জিতছি, কর্ণাটকে ভোটপ্রচারে স্বীকার করলেন মোদী