ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মোকাবিলায় ছোট থেকে মানবাধিকার শিক্ষার পরামর্শ অমর্ত্য

ভারতের ধর্মীয় বিভাজনে উদ্বেগপ্রকাশ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের। 

Updated By: Jul 6, 2019, 12:17 PM IST
ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মোকাবিলায় ছোট থেকে মানবাধিকার শিক্ষার পরামর্শ অমর্ত্য

নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মের নামে দেশে বাড়ছে বিভাজন। জোর করে বুলি আওড়ানোর চেষ্টা, মারধর। এটা বিপজ্জনক প্রবণতা। শুক্রবার  উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অমর্ত্য সেন। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি মানবাধিকার শিক্ষার পরামর্শ দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। 

ক্ষিতিমোহন সেনের লেখা "হিন্দু ধর্ম' বইটি ভারতীয় সনাতন ধর্মের একটি আকর গ্রন্থ। বিশ্বের প্রায় সব ভাষায় অনুবাদ হয়েছে বইটি। হিন্দু ধর্ম' গ্রন্থে ভারত আত্মার যে প্রতিধ্বনি  শোনা যায় সেই শব্দেই আজকের ভারত নিয়ে নিজের মতামত জানালেন ক্ষিতিমোহন সেনের নাতি অর্মত্য সেন। মাতামহ ক্ষিতিমোহনের সান্নিধ্যে যে বোধ তৈরি হয়েছিল সেই বোধের সঙ্গে বর্তমানের দ্বন্দ্বের কথা বারবার মুখ ফুটে বলেছেন নোবেলজয়ী  অর্মত্য সেন। শুক্রবার আবার বললেন শিশির মঞ্চে।

অর্মত্য বলেন, 'ধর্ম নিয়ে ভারতবর্ষে এখন নতুন করে পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। ভারতের সংবিধানে বিভিন্ন ধর্মের যে স্থান তাতে কোনও পার্থক্য থাকা উচিত নয়। কিন্তু যখন শুনি যে একজন কাউকে রিকশা বন্ধ করে নির্দিষ্ট বুলি আওড়াতে বলা হয়। তিনি বুলি আওড়ালেন না বলে, তাঁর মাথায় লাঠি পড়ল, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে এলেন। আমরা যদি এরকম একটা জায়গায় এসে পৌঁছে থাকি, তাহলে শিক্ষার মধ্যে ভাষা, ব্যাকরণ, অঙ্ক ও তার সঙ্গে আমাদের প্রয়োজন, লোকেদের মানবিক ও  সমানিধাকারের যে দাবি, সেই দাবি বিষয়ে অবহিত হওয়া। এবং আমরা শুধু নিজের জন্য নয়, অপরের জন্যও দাঁড়াতে পারি, এরকম ব্যবস্থা করা উচিত'।

মানবাধিকার শিক্ষার উপযোগিতা নিয়ে অর্মত্য বলেন, 'ছোট থেকে শিক্ষার মাধ্যমে যে চেতনা গড়ে ওঠে সেই সেই চেতনা গঠনের জায়গাটাতেই বদল আনতে হবে। অবহিত হতে হবে অন্যের অধিকারের বিষয়ে। দাঁড়াতে হবে অন্যের বিপদে'।

আরও পড়ুন- ধর্ম না পাল্টে হজে যাব, ব্যবস্থা করুন মুখ্যমন্ত্রী, রথে নুসরতের হাজিরা নিয়ে মুকুল

.