মামলার ফাঁসে মোদী
অ্যামিকাস ক্যুরা অর্থাত্ আদালত নিযুক্ত আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রনের রিপোর্টের ভিত্তিতে জাকিয়া জাফরি মামলায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করার সুপারিশ করা হতে পারে। রিপোর্টে আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট সহ অন্যান্য সাক্ষীদের নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
অ্যামিকাস ক্যুরা অর্থাৎ আদালত নিযুক্ত আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রনের রিপোর্টের ভিত্তিতে গুলবার্গ সোসাইটি গনহত্যা মামলায় নিহিতি প্রাক্তন সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির আবেদন মেনে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করার সুপারিশ করা হতে পারে। রিপোর্টে আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট সহ অন্যান্য সাক্ষীদের নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এর আগে এই মামলার বিশেষ তদন্তকারী দল এসআইটি উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে এবং পুলিস অফিসার সঞ্জীব ভাটকে অনির্ভরযোগ্য সাক্ষী হিসেবে চিহ্নিত করে মোদীর বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছিল। এসআইটির কাছে দেওয়া সাক্ষ্যতে সঞ্জীব ভাট বলেন যে ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ এ নরেন্দ্র মোদী পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বলেছিলেন, তাঁরা যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের `ক্ষোভ প্রকাশের` ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় থাকেন। সঞ্জীব ভাট সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর গান্ধীনগরের বাড়িতে। এসআইটি জানায় যে ওই বৈঠকে বাকি যে পুলিস কর্তারা ছিলেন, তাঁরা কেউ সঞ্জীব ভাটের উপস্থিতির কথা স্বীকার করেননি। ফলে এসআইটি যে রিপোর্ট দিয়েছে কার্যত তার সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলা আছে অ্যামিকাস ক্যুরার এই রিপোর্টে।
সুপ্রিম কোর্ট জাকিয়া জাফরির অভিযোগের তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল এসআইটি র ওপর দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রাজু রামচন্দ্রনকে অ্যামিকাস ক্যুরা বা আদালত বান্ধব আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করে। এসআইটির তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে এবং ঘটনায় যুক্ত অন্যান্য সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে রামচন্দ্রন এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন।