আদালতের সমালোচনার মুখে আন্না হাজারে
সমালোচনার মুখে আন্না হাজারে। একটি মামলার সূত্রে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতিরা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সংসদে যখন এই ইস্যুতে আলোচনা চলছে তখন কোনও সমান্তরাল প্রচার কর্মসূচির অনুমতি দিতে পারে না আদালত। তবে আদালতের সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়েও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন আন্না হাজারে।
সরকারের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় গিয়ে আগেই অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্না হাজারে। এবার সেই অনশন কর্মসূচি নিয়েই আদালতের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রবীণ সমাজসেবী। একটি মামলার সূত্রে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতিরা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সংসদে যখন এই ইস্যুতে আলোচনা চলছে তখন কোনও সমান্তরাল প্রচার কর্মসূচির অনুমতি দিতে পারে না আদালত। তবে আদালতের সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়েও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন আন্না হাজারে।
২৭ ডিসেম্বর মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এমএমআরডিএ-র মাঠে অনশন কর্মসূচি নিয়েছেন সমাজসেবী আন্না হাজারে। বিনা মূল্যে অথবা কম মূ্ল্যে অনশনস্থল ভাড়া দেওয়ার জন্য আদালত মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিক, এই আর্জি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন আন্না হাজারে। সহানুভূতির বদলে আদালতের কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছেন মহারাষ্ট্রের বিশিষ্ট সমাজসেবী। পি বি মজুমদার এবং মৃদুলা ভাটকরের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে মাঠের ভাড়া কমানো নিয়ে সিদ্ধান্ত মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি নেবে।
শুধু তাই নয় অনশন কর্মসূচি নিয়েও আন্না হাজারেকে বিঁধেছে বম্বে হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে সংসদে যখন এই ইস্যুতে আলোচনা চলছে তখন কোনও সমান্তরাল প্রচার কর্মসূচিতে অনুমতি দিতে পারে না আদালত। একপক্ষের কাছে যা সত্যাগ্রহ অন্যদের কাছে তা অশান্তির কারণ হতে পারে। এই অনশন কর্মসূচি বাস্তবিক জনগনণের স্বার্থে নাকী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা নিয়েও আদালত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আন্না হাজারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দ্বিগিজয় সিং। আন্নার অনশন কর্মসূচিকে পুরোপুরি রাজনৈতিক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। আদালত এবং কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে দাড়িয়েও নিজের ঘোষিত অবস্থান থেকে সরে আসেননি আন্না হাজারে। তবে আদালতের কঠোর মন্তব্য কংগ্রেস শিবির তথা সরকারপক্ষের হাত শক্ত করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।