বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে আজই এনডিএ ছাড়তে পারে আরও এক শরিক
২০১৪ সালে যখন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সাংসদ ছিল ৩৩৬ জন। তার পর নানা কারণে কমেছে সেই সংখ্যা। সব শেষে তা পৌঁছেছে ৩১০-এ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বড়সড় সঙ্কটের মুখে ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। আরও একটি শরিক হারানোর মুখে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর এই ধাক্কা আসতে পারে পূর্ব ভারতের রাজ্য বিহার থেকে।
আরও পড়ুন: ইউপিএ জমানার চপার দুর্নীতির মামলায় মিশেলের আইনজীবী কংগ্রেসের যুব নেতা
সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবারই এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করতে পারেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা। তিনি রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির (আরএলএসপি) সভাপতি। নরেন্দ্র মোদীর সরকারে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। দলের আরও দু'জন সাংসদকে নিয়ে তিনি কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শরিক।
এদিন বিহারের মোতিহারিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর একটি প্রকাশ্য সমাবেশ রয়েছে, ওই সমাবেশ থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতার দাবি, মন্ত্রিত্বও ছেড়ে দিতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: বুলন্দশহরের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বললেন অমিত শাহ
তবে দলের নেতাদের বক্তব্য, এর সঙ্গে নতুনত্ব কিছু নেই। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরেই আরএলএসপি সুপ্রিমো বিজেপির প্রতি তাঁর অসন্তোষ ব্যক্ত করছিলেন। কারণ, তিনি মনে করছেন যে এনডিএ-র সঙ্গে থাকার আর কোনও যৌক্তিকতা নেই।
বুধবারই উপেন্দ্রর দলের পক্ষ থেকে বিহারে নীতীশ কুমার সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। দলের নেতাদের বক্তব্য, বিহারে এনডিএতে তাঁদের জোট হয়েছিল বিজেপি ও লোক জনশক্তি পার্টির সঙ্গে। কিন্তু সেই জোটে জনতা দল (ইউনাইটেড) ছিল না। ওরা গত বছর এনডিএ জোটে শামিল হয়েছে। তাঁরা ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।
উপেন্দ্র কুশওয়াহা যদি সত্যিই আজ এনডিএ-র সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করেন, তা হলে নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদীর দলের কাছে বড় ধাক্কা হবে। উপেন্দ্র তাঁর দলের আরও দু'জন সাংসদের সঙ্গে এনডিএ ছাড়লে সরকারের সদস্য সংখ্যা ৩০৭ হবে।
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে রিমোটে তেলেঙ্গানার সরকার চালাচ্ছেন মোদী, অভিযোগ রাহুলের
তাত্পর্যপূর্ণভাবে ২০১৪ সালে যখন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সব মিলিয়ে সাংসদ ছিল ৩৩৬ জন। তার পর কখনও শরিক বিচ্ছেদ, কখনও ভোটে হার নানা কারণে কমেছে সেই সংখ্যা। সব শেষে তা পৌঁছেছে ৩১০-এ। এবার সেই সংখ্যা আরও কমার পরিস্থিতি তৈরি হল