কাশ্মীর নিয়ে সেনাপ্রধান-ওমর কাজিয়া, হুরিয়তের ডাকে সর্বাত্মক বন্ধ উপত্যকায়
জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে তীব্র মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে সেনাবাহিনীর।
জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে তীব্র মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে সেনাবাহিনীর। সেনাপ্রধান জেনারেল বিজয় কুমার সিং বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তাঁরা মতামত জানিয়ে দিয়েছেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকই।
এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি। কিন্তু এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকার কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। জম্মু-কাশ্মীরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৈফুদ্দিন সোজ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ওই আইন প্রত্যাহার করার আগে ওমর আবদুল্লা তাঁর দলের সঙ্গে কোনো পরামর্শই করেননি। এমনকী, তিনি দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা সেনাবাহিনীর সঙ্গেও এ নিয়ে কোনও কথা বলেননি। যদি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো কথা না হয়ে থাকে, তা হলে ওমরের এই সিদ্ধান্ত ভুল বলে দাবি সৈফুদ্দিনের। তাঁর যুক্তি, জঙ্গি তত্পরতা বন্ধ হলে তবেই এই ধরনের আইন প্রত্যাহার করার কথা ভাবা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা তথা হুরিয়ত কনফারেন্সের কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ্ গিলানির আহ্বানে ডাকা বন্ধে বৃহস্পতিবার কার্যত অচল হয়ে যায় উপত্যকা। ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিংয়ের অনুরোধে পাকিস্তানী হানাদারদের প্রতিরোধ করতে ভূস্বর্গে প্রবেশ করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই 'দখলদারির' প্রতিবাদেই এই বন্ধের ডাক দেয় পাকপন্থী গিলানি গোষ্ঠী।