এনপিআর-এ নাম জিজ্ঞাসা করলে ‘রঙ্গা-বিল্লা’ বলুন, পরামর্শ অরুন্ধতীর, ক্ষুব্ধ বিজেপি
বিরোধীরা বলছেন, এনপিআর হল জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রথম ধাপ। এনপিআর-এর জন্য বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হবে, যা নাগরিকত্ব চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। বাবা-মায়ের জন্মের স্থান-কাল, ফোন নম্বর পূরণ করতে বলা হচ্ছে এনপিআর ফর্মে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির জন্য বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করতে এলে, সরকারকে ভুল তথ্য দিন। এই ধরুন নাম জিজ্ঞাসা করলে বলুন রঙ্গা-বিল্লা কিংবা কুঙ্গফু-কুত্তা। ঠিকানা চাইলে দিয়ে দিন প্রধানমন্ত্রী বাড়ির ঠিকানা- ৭ নম্বর, রেসকোর্স রোড। ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে এভাবেই বিভ্রান্ত করার পরামর্শ দিলেন লেখিকা অরুন্ধতী রায়।
বিরোধীরা বলছেন, এনপিআর হল জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রথম ধাপ। এনপিআর-এর জন্য বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হবে, যা নাগরিকত্ব চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। বাবা-মায়ের জন্মের স্থান-কাল, ফোন নম্বর পূরণ করতে বলা হচ্ছে এনপিআর ফর্মে। এখানেই আপত্তি বিরোধীদের। অরুন্ধতীর প্রশ্ন, নাম-ধাম, ফোন নম্বর চাওয়া হচ্ছে কেন? কারণ, এনআরসির প্রথম ধাপ হচ্ছে এনপিআর।
2. मेरे गुरू 90 वर्ष के हैं, उनसे मैंने 1992 में सन्यास की दीक्षा ली थी। वह भारत के सर्वाधिक सम्माननीय संत हैं, उन्हें हमारे देश के सभी धर्मों, राजनीतिक दलों एवं संत समाज के लोग बहुत आदरणीय मानते हैं।
— Uma Bharti (@umasribharti) December 25, 2019
এনপিআর ফর্মে নিজের নামের পরিবর্তে রঙ্গা-বিল্লার নাম দেওয়ার পরামর্শে রীতিমতো ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ উমা ভারতী বলেন, রঙ্গা-বিল্লার মতো কুখ্যাত আসামীর নাম না করে আসফাউল্লাহ খান কিংবা রামপ্রসাদ বিসমিলের নাম করতে পারতেন তিনি। ধর্ষণ-খুনে জড়িত রঙ্গা-বিল্লার আদর্শে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছেন! তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আসলে নারীবিদ্বেষী, অমানবিক এবং বিকৃত মনস্ক। তাঁর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগ্বিজয় সিং আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, অরুন্ধতীর মতো বুদ্ধিজীবীদের আগে এনপিআর-এ নাম নথিভুক্ত করা উচিত।
উল্লেখ্য, সত্তরের দশকে দুই কিশোর-কিশোরীর উপর বর্বোরচিত ধর্ষণ ও খুন করে খবরে শিরোনামে চলে আসে কুলজিত্ সিং ওরফে রঙ্গা খুস এবং জসবীর সিং ওরফে বিল্লা। নির্ভয়া কাণ্ডের মতোই দিল্লির এই ঘটনা সাড়া ফেলে দেয় গোটা দেশে। ১৬ বছরের গীতা এবং ১৪ বছর বয়সি তার ভাই সঞ্জয় চোপারাকে অপহরণ করে খুন এবং ধর্ষণ করে রঙ্গা-বিল্লা। পরে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাদের ফাঁসি হয়। কুখ্যাতদের কীর্তি উল্লেখ করতে মাঝেমধ্যে রঙ্গা-বিল্লার উদাহরণ টেনে আনা হয়। খোদ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম জামিন পেতে আদলতে বলেছিলেন, “আমি কি রঙ্গা-বিল্লা, যে জামিন বাধা দিচ্ছে সরকার।”