Rajasthan Political Crisis: গেহলতের চালে মাত রাজেশ-জোশি! এবার পালা সচিন পাইলটের?

Ashok Gehlot vs Sachin Pilot: ১৯৯৮ সালে রাজেশ পাইলট, ২০০৮ সালে সিপি জোশী এবং ২০১৮ সালে শচীন পাইলটের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গেহলত প্রতিবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। এখন সকলের নজর অশোক গেহলতের পরবর্তী বাজির দিকে। সিপি জোশিকে কমান্ড দেওয়া হবে নাকি হাইকমান্ড পাইলটের উপর আস্থা রাখবে সেই দিকেই নজর সকলের।

Updated By: Sep 26, 2022, 10:38 AM IST
Rajasthan Political Crisis: গেহলতের চালে মাত রাজেশ-জোশি! এবার পালা সচিন পাইলটের?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতকে রাজনীতির জাদুকর বলে মনে করা হয়। তাঁর রাজনৈতিক যাত্রায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে এগিয়ে এসেছেন বহু নেতা। তবে গেহলত প্রতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে নিজের জয় নিশ্চিত করেছেন। এ বার গেহলতের সামনে চ্যালেঞ্জ শচীন পাইলট। পাইলটকে রাস্তা থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে তাঁর পছন্দের কাউকে বসানোই এখন চ্যালেঞ্জ গেহলতের সামনে। এমন পরিস্থিতি অতীতেও গেহলতের সামনে এসেছে। গেহলতও সেই সমস্যা থেকে সহজেই বেরিয়েছেন বার বার। সেই সময় তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সিপি জোশি এবং রাজেশ পাইলট। একটা সময় ছিল যখন সিপি জোশি এবং অশোক গেহলটের মধ্যে রাজনৈতিক দুরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে গেহলত জোশিকে মুখ্যমন্ত্রী করতে প্রস্তুত। তিনি জোশির মাধ্যমে পাইলটের যাত্রাভঙ্গ করার কথা ভাবছেন।

গেহলতের পর জোশিকে রাজস্থানে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় নেতা মনে করা হয়। রাজনৈতিক উচ্চতায় তিনি গেহলতের থেকে কম ছিলেন না কখনও। যদি আমরা ১৪ বছর আগের কথা বলি, তাহলে ২০০৮ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সভাপতি পদের জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে এক ভোটে হেরে মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে বাদ পড়ে যান জোশি ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে জোশি এবং গেহলটের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। গেহলতের ছেলে বৈভবকে রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি করার ক্ষেত্রে জোশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিদ্রোহের সময় পাইলট গোষ্ঠীর বিধায়কদের অযোগ্যতার নোটিশ পাঠিয়েছিলেন জোশি। এরপর জোশি এবং গেহলতের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: Opposition Unity: লালু-নীতীশের বৈঠকে বড় পরামর্শ সনিয়া গান্ধীর, আলোচনায় ২০২৪-এর নতুন কৌশল

শুধু শচীন পাইলট নন তাঁর বাবা রাজেশ পাইলটের সঙ্গেও বিরোধ হয়েছে গেহলতের। কিন্তু সেখানেও বাজি ছিল গেহলতের হাতে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেশ পাইলট পৌছে যান গেহলতের সংসদীয় এলাকা যোধপুরে। কিন্তু সেখানে তাকে ডাকা হয়নি। মানুষ যখন আটকে জিজ্ঞাসা করেন যে তাদের সাংসদরা কোথায়, রাজেশ পাইলট উত্তর দিয়েছিলেন যে গেহলত এখানেই কোথাও থাকবেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই গেহলত বাজি জিতে নেন এবং রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি হন।

যখন ১৯৯৮ সালে সীতারাম কেশরী কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচনে হেরে যান, তার পরেই রাজেশ পাইলট রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। পরে সনিয়া গান্ধীও গেহলতকে সমর্থন করেন এবং রাজেশ পাইলট সাইডলাইন হয়ে যান। ১৯৯৮ সালে রাজেশ পাইলট, ২০০৮ সালে সিপি জোশী এবং ২০১৮ সালে শচীন পাইলটের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গেহলত প্রতিবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। এখন সকলের নজর অশোক গেহলতের পরবর্তী বাজির দিকে। সিপি জোশিকে কমান্ড দেওয়া হবে নাকি হাইকমান্ড পাইলটের উপর আস্থা রাখবে সেই দিকেই নজর সকলের।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.