অসম অস্ত্রকাণ্ডে নাম জড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার
অসম অস্ত্রকাণ্ডে নাম জড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। শনিবার অসমের চিরাংয়ে একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। ধৃত উমেশ কামিকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে অস্ত্রের বরাত দিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা সঞ্জয় রাই। তাকদার জিটিএ সদস্য সঞ্জয় রাইয়ের খোঁজ পায়নি পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: অসম অস্ত্রকাণ্ডে নাম জড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। শনিবার অসমের চিরাংয়ে একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। ধৃত উমেশ কামিকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে অস্ত্রের বরাত দিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা সঞ্জয় রাই। তাকদার জিটিএ সদস্য সঞ্জয় রাইয়ের খোঁজ পায়নি পুলিস।
নাগা জঙ্গিদের থেকে অস্ত্র কিনে আনার বরাত দিয়েছিলেন এক মোর্চা নেতা! এমনটাই দাবি অসম পুলিসের। শনিবার সন্ধেয় অসমের ঢালিগাঁও থানার ছাপাগুড়িতে একটি গাড়ি তল্লাসিতে মেলে-
১টি এম ১৬ রাইফেল
২টি বেরেটা পিস্তল
৩টি পয়েন্ট ৩২ পিস্তল
নাইন এম এম পিস্তলের ৩০০ রাউন্ড কার্তুজ
একে রাইফেলের ১৯৮ রাউন্ড কার্তুজ
পয়েন্ট ৩২ পিস্তলের ৬০ রাউন্ড কার্তুজ
দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃত উমেশ কামির বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার লঙ্কা পাড়ায়। তবে গত সপরিবারে দার্জিলিংয়ে থাকত সে। গোর্খা আন্দোলনের সময় উমেশ যোগ দেয় মোর্চার GLP তে। মোর্চার যুব সংগঠনেরও সে সক্রিয় সদস্য।
এই তথ্যের ভিত্তিতে উমেশ কামিকে জেরা শুরু করে পুলিস। অসম পুলিসের দাবি, জেরায় উঠে এসেছে তাকদার জিটিএ সদস্য সঞ্জয় রাইয়ের নাম। সেই নাকি এই অস্ত্র কেনার বরাত দিয়েছিল। সঞয় রাই অরফে টুলুং নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী NSCN (IM) র সঙ্গে অস্ত্র কেনার চুক্তি করে।
যে গাড়িতে অস্ত্র আনা হচ্ছিল তার মালিক উমেশ কামি। জেরায় কামি জানিয়েছে, সঞ্জয় রাই তাকে এই গাড়ি কিনে দেয়। তথ্য পেয়ে সঞ্জয়ের তাকদার বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। বেয়াইনি অস্ত্র কেনায় মোর্চা নেতার নাম জড়ানোয় উদ্বিগ্ন রাজ্য পুলিস। ইতিমধ্যেই সামনে এসছে ইউনাইটেড গোর্খা পিপলস অর্গানাইজেশনের নাম । কিন্তু কি কারণে এই অস্ত্র কিনে আনা হচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই অস্ত্র উদ্ধার পাহাড়ে জঙ্গি আন্দোলনের জল্পনা উস্কে দিয়েছে।