Assam woman kills husband: স্বামী ও শাশুড়িকে খুন!দেহ টুকরো করে ফ্রিজে ভরলেন গৃহবধূ
মাস সাতেক আগেই স্বামী অমরেন্দ্র দে এবং তাঁর শাশুড়ি শঙ্করী দে-কে খুন করেন ওই গৃহবধূ বলে অভিযোগ। প্রথমে তাঁদের দেহ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। তারপর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন। রবিবার অবশেষে ভয়ংকর এই ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এ যেন শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া। নিজের স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে তাদের দেহাংশ টুকরো টুকরো করে কাটল গৃহবধূ। শুধু তাই নয়, সেই দেহের কাটা অংশগুলো ফ্রিজেও তুলে রাখল। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গুয়াহাটিতে। অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে দেহের টুকরো ফ্রিজে রাখে গৃহবধূ। পরে স্বামী ও শাশুড়ি র দেহাংশের টুকরো জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, UPI and PayNow: এবার বিদেশ থেকে সহজেই পাঠান টাকা, সুবিধা দিচ্ছে Gpay, Paytm
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনা গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকার। মাস সাতেক আগেই স্বামী অমরেন্দ্র দে এবং তাঁর শাশুড়ি শঙ্করী দে-কে খুন করেন ওই গৃহবধূ বলে অভিযোগ। প্রথমে তাঁদের দেহ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। তারপর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন। রবিবার অবশেষে ভয়ংকর এই ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিস। অভিযুক্ত গৃহবধূ বন্দনা কালিতাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছেন তিনি বলে খবর। পরে বন্দনা জানান, প্রেমিক অরূপ ডেকা ও বন্ধু ধনজিৎ ডেকার মদতেই এই কাজ করেন তিনি।
পুলিসের দাবি, ধৃত যুবক ধনজিত ডেকার সঙ্গে বন্দনা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সে কারণেই তার স্বামীকে খুন করেছে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস। অবশেষে দেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়। বন্দনাকে নিয়ে পুলিস ওই জঙ্গলে গিয়েছিল। জায়গা গুলি চিহ্নিত করার পরেই উদ্ধার হয় দেহের টুকরো। অমরজ্যোতির মা শঙ্করী দে ছিলেন গুয়াহাটি শহরের চাঁদমারি এলাকার পাঁচটি ভবনের মালিক ৷ তার মধ্যে একটি ভবনে একাই থাকতেন শঙ্করী ৷ বাকি চারটি ভবনের ভাড়া আদায় করতেন অমরজ্যোতির মামা ৷ কিন্তু এতেও বন্দনা সন্তুষ্ট ছিলেন না ৷
এরকম বেশ কয়েকটি কারণে বন্দনা ও অমরজ্যোতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রস্তুতি চলছিল ৷ এদিকে বন্দনা প্রায় সাতমাস আগে স্বামী ও শাশুড়ির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন নুনমতি থানায় ৷ এফআইআরের ভিত্তিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের একটি মামলা দায়ের করে ৷ তদন্ত চলাকালীন বন্দনা দ্বিতীয় অভিযোগ করেন যে, অমরজ্যোতির মামা তাঁর শাশুড়ির পাঁচটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷ এই বিষয়ে তদন্তে নেমে পুলিসের নজরে আসে যে খোদ বন্দনাই একটি এটিএম ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ টাকা তুলেছে ৷ এই তথ্য পেতেই পুলিসের সন্দেহ হয় বন্দনাকে।
আরও পড়ুন, Malabar Drill: চিনের প্রতি চালের বিরুদ্ধে বিশেষ পরিকল্পনা ভারতের, শেষ হবে ড্রাগনের দৌরাত্ম্য!