বড় নাশকতার ছক ফাঁস, শনিবার গ্রেফতার আরও ৫
জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে কর্নাটকে ১১ জনকে গ্রেফতারের জেরে ফের প্রকাশ্যে চলে এল বড়সড় নাশকতার ছক। জঙ্গি আক্রমণের নিশানায় ছিল কর্নাটকের কাইগা পরমাণু কেন্দ্র এবং কারওয়ারের নৌসেনা ঘাঁটি।
জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে কর্নাটকে ১১ জনকে গ্রেফতারের জেরে ফের প্রকাশ্যে চলে এল বড়সড় নাশকতার ছক। জঙ্গি আক্রমণের নিশানায় ছিল কর্নাটকের কাইগা পরমাণু কেন্দ্র এবং কারওয়ারের নৌসেনা ঘাঁটি। লস্কর-এ-তৈবা এবং হুজির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে বৃহস্পতিবার ১১ জনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিস। তাদের জেরা করে গতকাল হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় এক ছাত্রকে। একই সূত্র ধরে নানদেদ থেকে চারজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস।
হিমশৈলের চূড়াটা সামনে আসে গত বৃহস্পতিবার। বেঙ্গালুরু পুলিসের জালে ধরা পড়ে ১১ জন সন্দেহভাজন। অভিযোগ লস্কর-এ-তৈবা এবং হুজির সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে এই ১১ জনের। কিন্তু, গ্রেফতার করার পর কার্যত চক্ষু চরকগাছ বেঙ্গালুরু পুলিসেরই। এই ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন এক সাংবাদিক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিআরডিও-র বিজ্ঞানী আইজাজ আহমেদ মির্জা। আর এর থেকেই সন্ত্রাসের শিকড় কতটা গভীর, সেই চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে যায় পুলিসের কাছে। প্রাথমিক জেরাতেই জানা যায়, বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিককে নিশানা করেছিল ধৃতেরা। শুরু হয় জেরা। আর সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার হায়দরাবাদে ধরা পড়ে যায় এক ছাত্র। নাম ওবেইদ রহমান। বিদেশি পিস্তল, কর্নাটকের একাধিক জায়গার মানচিত্র ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু নথি। কিন্তু, এরপরই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্যটি। জঙ্গি আক্রমণের নিশানায় রয়েছে কাইগা পরমাণু কেন্দ্র এবং কারওয়ারের নৌসেনা ঘাঁটি।
সৌদি আরবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ। কিন্তু, কীভাবে? ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, গোয়েন্দা নজর এড়াতে বেশিরভাগ নির্দেশই আসতো স্কাইপি-র মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে। গ্রেফতার হওয়া বিজ্ঞানী বেঙ্গালুরুর সেন্টার ফর এয়ার বোর্ন সিস্টেমসে কর্মরত ছিলেন। তাই তদন্তকারীদের আশঙ্কা, ইতিমধ্যেই নৌসেনা সংক্রান্ত বহু তথ্য হয়তো পাচার করে দিয়েছেন আইজাজ। এদিকে, এই তদন্তের সূত্র ধরেই নানদেদ থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র এটিএস।