বিহার বিপর্যয়ে তছনছ মোদী ঝড়, প্রভাব বাংলাতেও, প্রশ্ন দলের অন্দরেই
নজরে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। পূর্বভারতে জয়পতাকা ওঠার আগেই মোদী ঝড় মুখ থুবড়ে পড়ল বিহারে। বাংলা থেকে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিয়েই ইনিংস শুরু করতে চেয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু এবারে বিহার ভোটের ধাক্কা এরাজ্যের পদ্ম শিবিরকেই যেন তছনছ করে দিল।
ওয়েব ডেস্ক: নজরে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। পূর্বভারতে জয়পতাকা ওঠার আগেই মোদী ঝড় মুখ থুবড়ে পড়ল বিহারে। বাংলা থেকে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিয়েই ইনিংস শুরু করতে চেয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু এবারে বিহার ভোটের ধাক্কা এরাজ্যের পদ্ম শিবিরকেই যেন তছনছ করে দিল।
পাখির চোখ ছিল ২০১৬ বিধানসভা ভোট। সেই লক্ষ্যেই হুঙ্কার ছেড়েছিলেন অমিত শাহ। এবারে বিহার ভোটে চূড়ান্ত বিপর্যয়ে সেই আওয়াজটাই যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েকমাস। বিজেপির ঘোষণা ছিল, এরাজ্য থেকে তৃণমূলকে উত্খাত্ করা। এখন কি আর তারা সেই রাজনৈতিক লক্ষ্যে এগোতে পারবে? নাকি সর্বভারতীয় রাজনীতির কথা মাথায় রেখে তৃণমূলের সঙ্গে আপোসের রাস্তাই বেছে নেবেন কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরেই।
ভেস্তে গেল ছক?
এরাজ্যে এখনই যে বিধানসভা দখল সম্ভব নয় তা বিলক্ষণ জানতেন বিজেপির উপর তলার নেতারা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল সংগঠন মজবুত করে এবং বেশ কিছু আসন দখল করে মমতাকে পাল্টা চাপে ফেলা। একাজে আরএসএসের মতো শক্তিশালী সংগঠনকে ব্যবহার করার কথাও মাথায় ছিল রাজ্য নেতাদের। এখন সেই স্বপ্ন কি আদৌ কি বাস্তবে রূপ নেবে? প্রশ্ন দলের অন্দরেই।
অস্বস্তিতে নেতৃত্ব
২০১৪ লোকসভার পর বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা অনেকেই ভেবেছিলেন, একমাত্র বিজেপিই এরাজ্য থেকে তৃণমূলকে উত্খাত করতে পারে। বিহার বিপর্যয় কি তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল? প্রশ্নটা নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলছে এরাজ্যের বিজেপি নেতাদের।
বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব
বর্তমানে এমনিতেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার রাজ্য বিজেপি। রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দলের একটি অংশ। এই পরিস্থিতিতেই ছমাসের মধ্যে বিধানসভা ভোট। ছন্নছাড়া এই অবস্থায় এরাজ্যে কী করবে পদ্মশিবির। তা নিয়েই কার্যত চোখে অন্ধকার দেখছেন এরাজ্যের বিজেপি কর্মীরা।
বিহার বৈতরণী পার করতে আড়াই মাস ধরে সে রাজ্যে পড়েছিল টিম-অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে সেই টিমেরই কাজ করার কথা। বিহার-বিপর্যয়ের পর সাধারণ কর্মী সমর্থকেরা টিম-অমিতের ওপর কতটা ভরসা রাখতে পারবেন তা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।