একশো দিনের কাজে শীর্ষে নয়, ২১ নম্বরে বাংলা, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নস্যাত্ কেন্দ্রের রিপোর্টে
প্রায় প্রতিটি সভাতেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন একশ দিনের কাজের প্রকল্পে এরাজ্য এক নম্বরে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে কার্যত নস্যাত্ করল। একশ দিনের কাজের প্রকল্প-রিপোর্টে বাংলার স্থান প্রথম নয়, একুশ নম্বরে। পিছিয়ে থাকা বলে পরিচিত বিহারও বাংলার চেয়ে এগিয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: প্রায় প্রতিটি সভাতেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন একশ দিনের কাজের প্রকল্পে এরাজ্য এক নম্বরে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে কার্যত নস্যাত্ করল। একশ দিনের কাজের প্রকল্প-রিপোর্টে বাংলার স্থান প্রথম নয়, একুশ নম্বরে। পিছিয়ে থাকা বলে পরিচিত বিহারও বাংলার চেয়ে এগিয়ে।
তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বে বাংলা যে দেশের প্রথম সারির রাজ্য, তা বোঝাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই এই দাবি জানিয়ে থাকেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রের রিপোর্ট সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে।
২০১৪-১৫ সালের পারফরম্যান্স রিপোর্ট বলছে, ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্য কাজ দিতে পেরেছে গড়ে ৩১ দিনের কাছাকাছি। এমনকি পিছিয়ে থাকা রাজ্য বিহারের পারফরম্যান্সও বাংলার থেকে ভালো। আগের বছরগুলোর মতোই এক নম্বরে রয়েছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা কাজ দিতে পেরেছে ৭৭ দিন। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাত, এমনকি সদ্য তৈরি হওয়া তেলেঙ্গানাও বাংলার ওপরে। এরা প্রত্যেকেই ৪০ দিনের বেশি কাজ দিতে পেরেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি রাজ্য, যেমন মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশও এগিয়ে বাংলার থেকে। এই দুই রাজ্য নারেগা প্রকল্পে চল্লিশ দিনের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পেরেছে। শুধু দিনের নিরিখেই নয়, অন্য কোনও মাপকাঠিতেও এক নম্বরে নেই বাংলা।