লোকসভায় সাসপেন্ড অধীর, অভিজিত্, আবু সহ ২৫ কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেসের পাশে তৃণমূল, আপ
লোকসভায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ২৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে পাঁচ দিনের জন্য সাসপেন্ড করলেন স্পিকার। সভার ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার।
ওয়েব ডেস্ক: শাসক-বিরোধী সংঘাতের চূড়ান্ত নজির দেখল লোকসভা। ওয়েলে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে পাঁচদিনের জন্য সাসপেন্ড হলেন পঁচিশ জন কংগ্রেস সাংসদ। লাগাতার, ইচ্ছাকৃতভাবে অধিবেশন পণ্ড করার অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
সাসপেন্ড হওয়া ২৫ জন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন এরাজ্যের অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়, এবং আবু হাসেম খান চৌধুরী। হঠাত্ কেনও এই কড়া সিদ্ধান্ত? খোদ স্পিকারই তাঁর ব্যাখ্যা দেন।
অনড় সরকারপক্ষ। অনড় কংগ্রেসও। তবে সংঘাতটা এমন বেনজির জায়গায় পৌছবে তা হয়তে শুরুতে আঁচ করা যায়নি। ললিত কাণ্ডে সুষমা-বসুন্ধরা আর ব্যপমের জেরে শিবরাজ সিংয়ের ইস্তফার দাবি। এই ত্রিফলা হাতিয়ারেই বাদল অধিবেশনে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। বিক্ষোভের জেরে লাগাতার পণ্ড সংসদের কাজকর্ম। সোমবার সর্বদল বৈঠক ডাকলেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। উল্টে সংসদে আরও তীব্র হয়েছে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে সেই বিক্ষোভের ওপরই শেষ পর্যন্ত শাস্তির খাঁড়া নামান স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
শাস্তি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুষমা-বসুন্ধরা-শিবরাজের ইস্তফার দাবিতে অনড় কংগ্রেস। পিছু হঠতে নারাজ মোদীও। যুযুধান দুই শিবিরের লড়াইয়ের জেরে বাদল অধিবেশনে সুষ্ঠু ভাবে চলা নিয়ে সংশয় ছিলই। এবারে কংগ্রেসের ২৫ জন সাংসদের সাসপেনশন সেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলল।