ভঁবরি দেবী হত্যা মামলায় ধৃত মহীপাল মদেরনা

শেষ পর্যন্ত ভঁবরি দেবী অন্তর্ধান মামলায় রাজস্থানের প্রাক্তন জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মহীপাল মদেরনাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। পাশাপাশি ভঁবরি দেবীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে এদিন রাজস্থান হাইকোর্টে বহিষ্কৃত এই কংগ্রেস নেতার নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

Updated By: Dec 2, 2011, 08:16 PM IST

শেষ পর্যন্ত ভঁবরি দেবী অন্তর্ধান মামলায় রাজস্থানের প্রাক্তন জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মহীপাল মদেরনাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। পাশাপাশি ভঁবরি দেবীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে এদিন রাজস্থান হাইকোর্টে বহিষ্কৃত এই কংগ্রেস নেতার নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সোহনলাল, শাহাবুদ্দিন এবং বলদেভ নামে তিন মহীপাল-অনুগামীর নামও রয়েছে এই চার্জশিটে। মহীপালের সঙ্গেই এদিন রাজ্যের প্রভাবশালী কংগ্রেস বিধায়ক মালখান সিং বিশনই-এর ভাই পরশরাম বিশনইকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
সিবিআই-এর জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বালিয়ারা-পিপারা এলাকার চুনের কারখানার তল্লাশি চালিয়ে ভঁবরি দেবী হত্যা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার হয়েছে। শাহাবুদ্দিনের গাড়ি থেকে মিলেছে ভঁবরি দেবীর রক্তমাখা জামাকাপড়, মাথার চুল ও লকেট।
গত ১ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যান জস্থানের জালিওয়ারা গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স ভঁবরি দেবী। খবরে প্রকাশ পায়, মহীপালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল পঁয়িত্রশ বছরের ওই নার্সের। ভঁবরি দেবীর স্বামী অমরচাঁদ নাথ অভিযোগ করেন, মন্ত্রীর অনেক কুকীর্তি জেনে ফেলায় তাঁর স্ত্রীকে খুন করে লাশ গায়েব করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিস নিশ্চেষ্ট থাকলেও শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে যোধপুরের কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মহীপালের বাবা পরশরাম মদেরনা রাজস্থানের অন্যতম প্রভাবশালী জাঠ নেতা। ফলে পুরো ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধী শিবিরের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি মেনে মামলার ভার সিবিআইকে দেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এর পরই কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে মহীপালকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তিনি ইস্তফায় রাজি না হওয়ায় চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। গত ১৬ অক্টোবর মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয় মহীপালকে।
সিবিআই তদন্তে মহীপাল মদেরনার পাশাপাশি উঠে আসে কংগ্রেস বিধায়ক মালখান সিং বিশনই এবং তাঁর বোন ইন্দিরা বিশনইয়ের নাম। তাঁদের জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় সিবিআই। উদ্ধার হয়, ইন্দিরা বিশনই এবং ভঁবরি দেবীর টেলিফোন কথোপকথনের কয়েকটি টেপ। মহীপালের সঙ্গে ভঁবরিদেবীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও টেপও প্রকাশ্যে আসে।
প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআই-এর ধারণা, মহীপালের সঙ্গে সম্পর্কের একটা পরিণতি চেয়েছিলেন ভঁবরিদেবী। এ জন্য তিনি পালি কেন্দ্রের সাংসদ বদরি রাম ঝকারের কাছেও দরবার করেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ার মহীপাল মদেরনাকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেন ভঁবরি। আর এর ফলেই তাঁর জীবনের অন্তিম মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে।

.