মোদীর রাজ্যে সেঞ্চুরি হতেই ২০১৯-এর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি

কয়েকদিন আগে গুজরাটের জশদা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হয়। রবিবার প্রকাশিত হল ওই ভোটের ফল। প্রায় ১৯ হাজার ভোটে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসকে হারাল বিজেপি। সেই জয়ের প্রসঙ্গ টেনেই এদিন ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেছেন বিজয় রূপানী।

Updated By: Dec 23, 2018, 05:17 PM IST
মোদীর রাজ্যে সেঞ্চুরি হতেই ২০১৯-এর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপিই। রবিবার এমনই আত্মবিশ্বাসী কথা শোনা গেল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানীর মুখ থেকে। কেন তিনি এত আত্মবিশ্বাসী, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের এই বিজেপি নেতা।

আরও পড়ুন: তিন রাজ্যে হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরল বিজেপি

কয়েকদিন আগে গুজরাটের জশদা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হয়। রবিবার প্রকাশিত হল ওই ভোটের ফল। প্রায় ১৯ হাজার ভোটে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসকে হারাল বিজেপি। সেই জয়ের প্রসঙ্গ টেনেই এদিন ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেছেন বিজয় রূপানী।

তাঁর কথায়, ''এই জয়ের ফলেই ইঙ্গিত মিলছে যে ২০১৯ সালে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ভোটে জিতবে।'' তবে তাঁর এই আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের পিছনে অবশ্য অন্য কারণ দেখছে রাজনৈতিক মহল।

 

গুজরাটে মোদী জমানা শেষ হওয়ার পর প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন হয় ২০১৭ সালের শেষে। ওই নির্বাচনে জিতলেও ৯৯-তেই থমকে যেতে হয় বিজেপিকে। ১৮২ আসনের বিধানসভায় সংখ্যারগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় বিজেপি। কিন্তু বিরোধীদের কটাক্ষ সহ্য করতে হয়।

আরও পড়ুন: মৌলবাদীদের বাধা সত্ত্বেও তিন তালাক বিরোধী আইন তৈরি হবে, জানিয়ে দিলেন মোদী

কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির বক্তব্য ছিল, জিতলেও আসলে নৈতিক জয় হয়েছে তাদের। কারণ, গুজরাটে বিজেপির একছত্র রাজ ছিল। সেখানে বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্কে নেমে আসে। যা হারের থেকে মুখ বাঁচানো বলেই ব্যাখ্যা করেছিল বিরোধীরা।

রবিবারের জয়ে সেই অঙ্কের হিসেব বদলে গেল। কুরভানের জয়ে গুজরাটে সেঞ্চুরি করল বিজেপি। তার উপর যে আসনে এদিন জয় এল, সেখানে গত পাঁচবার কংগ্রেস জিতেছে। সেই জয়ী প্রার্থী কুরভানই এবার বিজেপির হয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন।

আরও পড়ুন: 'যা বলার সংসদে বলব,' কম্পিউটারে নজরদারি নিয়ে বললেন রাজনাথ

ফলে এদিনের জয়ে বিজয় রূপানীরা জোড়া সাফল্য পেলেন বলা যেতেই পারে। সেই কারণেই তিনি আত্মবিশ্বাসী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.