গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন দলীয় কর্মী, দিল্লি পুরভোটে অস্বস্তিতে বিজেপি

পুরভোটের বাকি আর মাত্র ৪ দিন। এরই মধ্যে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক কর্মীর খুনের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ল টিম গডকড়ি। দিল্লিতে ওই বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দলের এক কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

Updated By: Apr 11, 2012, 04:23 PM IST

পুরভোটের বাকি আর মাত্র ৪ দিন। এরই মধ্যে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক কর্মীর খুনের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ল টিম গডকড়ি। দিল্লিতে ওই বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দলের এক কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
নিহত বিজেপি কর্মীর নাম জয়প্রকাশ যাদব। বুধবার ভোরে উত্তর দিল্লির মডেল টাউন এলাকায় আজাদপুর রেল স্টেশনের কাছে তাঁকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির সঙ্গম পার্ক এলাকার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাধবপ্রসাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন জয় কিষাণ। এরপরই মাধবপ্রসাদের সঙ্গীরা ছুরি মারে জয়প্রকাশকে।
পুরো ঘটনার পিছনে দিল্লি পুরসভার (এমসিডি) আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন নিহত জয়প্রকাশ যাদবের ভাই বীরেন্দ্র যাদবের অভিযোগ, বিগত পাঁচ বছর ধরে এলাকার কাউন্সিলর হিসেবে কোনও কাজই করেননি মাধবপ্রসাদ। এবারের ভোটের আগে তাই জয়প্রকাশের নেতৃত্বে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে টিকিট দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। উপরতলার নেতৃত্বের সঙ্গে যোগসাজশে পুনর্মনোনয়ন পেলেও স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অধিকাংশকেই পাশে পাননি মাধবপ্রসাদ। সেই আক্রোশ থেকেই পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয় জয়প্রকাশের উপর। এদিন ভোর ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই জয়প্রকাশকে ঘিরে ধরেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীরা।

বস্তুত জয়প্রকাশ-কাণ্ডকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আগামী ১৫ এপ্রিলের পুরভোট ঘিরে দিল্লি বিজেপি`তে এখন কার্যত মুষলপর্ব চলছে বলে মনে করছেন তাঁরা। পুরভোটে দলীয় মনোনয়ন ঘিরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই দলের অন্যতম শীর্ষনেতা বেঙ্কাইয়া নাইডুর বাড়িতে হামলা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীজেন্দ্র গুপ্তা। শৃঙ্খলারক্ষার জন্য প্রায় দু`ডজন স্থানীয় নেতাকে বহিষ্কার করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি ১১ অশোক রোডের নীতিনির্ধারকরা।
বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের মতে রাজধানী শহরের আসন্ন পুরভোটে `কমল না নিশান`-এর ভাল ফলের সম্ভাবনাই অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন বৃদ্ধির প্রধান কারণ। ২০০৭-এর পুরভোটে `মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফ দিল্লি` -র ২৭২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৬৪ এবং প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস ৬৭টি আসন দখল করে। অন্যান্যদের মধ্যে বহুজন সমাজ পার্টি ১৫, লোক জনশক্তি ৩, জেএমএম২, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল ২, এনসিপি ২ এবং নির্দল প্রার্থীরা ১৫টি ওয়ার্ডে জিতেছিলেন। এবার আসন কিছুটা কমলেও মোটের উপর এমসিডি`র দখল গেরুয়া শিবিরের হাতেই থাকবে বলে অনেক আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। ক্ষমতার ভাগ পাওয়ার জন্য `পার্টি উইথ আ ডিফারেন্স`-এর অভ্যন্তরীণ `ডিফারেন্স`-এর সূচনাও তখন থেকেই।

.