বহিষ্কার নয়, জেঠমালানিকে শোকজ করল বিজেপি

সাংসদ রাম জেঠমালানিকে সাসপেন্ড করার পর বিজেপিতে এখন আশঙ্কার কালো মেঘ। জল্পনা চলছিল জেঠমালানিকে আজ হয়তো আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এখনই তা না করে ৮৬ বছরের বর্ষীয়াণ নেতাকে শোকজ নোটিস পাঠানো হল। এদিকে আবার দলের বিহারের বলিউড তারকা নেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকেও সাসপেন্ড করার কথাও শোনা যাচ্ছে। রামজেঠমালানির মত শত্রুঘ্নও বিজেপি সভাপতি পদ থেকে নিতিন গড়করির অপসারণের পক্ষে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন। গড়করির বিরুদ্ধে তোপ দেগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের রক্তচক্ষুর সামনে পড়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।

Updated By: Nov 26, 2012, 06:51 PM IST

সাংসদ রাম জেঠমালানিকে সাসপেন্ড করার পর বিজেপিতে এখন আশঙ্কার কালো মেঘ। জল্পনা চলছিল জেঠমালানিকে আজ হয়তো আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এখনই তা না করে ৮৬ বছরের বর্ষীয়াণ নেতাকে শোকজ নোটিস পাঠানো হল। সেই কারণ দর্শানোর নোটিসে জেঠমালানির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তাঁকে দল থেকে তাড়ানো হবে না এমন যুক্তি যেন তিনি লিখে পাঠান।
এদিকে আবার দলের বিহারের বলিউড তারকা নেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকেও সাসপেন্ড করার কথাও শোনা যাচ্ছে। রামজেঠমালানির মত শত্রুঘ্নও বিজেপি সভাপতি পদ থেকে নিতিন গড়করির অপসারণের পক্ষে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন। গড়করির বিরুদ্ধে তোপ দেগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের রক্তচক্ষুর সামনে পড়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। তবে যশবন্তকে সম্ভবত সাসপেন্ড করা হচ্ছে না। অবশ্য পুরো ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের মনোবল যে তলানিতে ঠেকেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। বিজেপির একটা মহল বলছে, দলে আরএসএসের আধিপত্য এতটা বেশি যে তাদের পছন্দের পাত্রকে কোনওভাবে সমালোচনা করা হলেই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তা তিনি যতই দলের পুরনো যোদ্ধা হোন না কেন।

প্রসঙ্গত, রবিবার শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে সাসপেন্ড হয় বিজেপি সাংসদ রাম জেঠমালানিকে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গড়করিকে দলের সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য প্রকাশ্যেই সওয়াল করছিলেন রাম জেঠমালানি। গড়করির মাথায় সঙ্ঘ পরিবারের হাত থাকায় তাঁর এই আচরণে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট ছিলেন মোহন ভাগবতরা। লোকপাল বিল সংশোধনের জন্য গঠিত সিলেক্ট কমিটি, তিন সদস্যের প্যানেলের মাধ্যমে সিবিআইয়ের প্রধানকে নিয়োগের সুপারিশ করে।
যদিও, তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার নতুন সিবিআই প্রধানের নাম ঠিক করে ফেলায় কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব হয় বিজেপি। এ ক্ষেত্রেও প্রকাশ্যেই দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন রাম জেঠমালানি। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের স্বার্থেই নতুন সিবিআই প্রধানের নিয়োগের বিরোধিতা করছেন বলে অভিযোগ করেন জেঠমালানি। এমনকি আজ তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস কারোর নেই। প্রতিদিনই এইভাবে দলের অস্বস্তি বাড়ানোয় প্রবীণ এই আইনজীবীকে অবশেষে ছেঁটে ফেলল বিজেপি। বিজেপির সিদ্ধান্তের পিছনে সঙ্ঘ পরিবারের হাত রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেঠমালানির মন্তব্য কংগ্রেসেরই সুবিধা করে দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন।

.