কেজরিওয়ালের পার্টির আত্মপ্রকাশ, লক্ষ্য কং-বিজেপির বিকল্প হওয়া

দেশের রাজনীতিতে আরও একটা রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটল। অবশ্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি নামের এই নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে জাতীয় সংবাদমাধ্যম একটু বেশী উত্‍সাহে দিচ্ছে। আজ দিল্লির যন্তরমন্তরে যখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বন্ধু মনীশ সিসোদিয়া তাঁদের নতুন দলের নাম কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে ঘোষণা করলেন, তখন সংবাদমাধ্যমের ভিড় ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। আসলে আন্না হাজারের সেই বহু আলোড়িত দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানী জুড়ে যে আম আদমির সমর্থন মিলেছিল তার পিছনেও অন্যতম কারণ ছিল প্রচারমাধ্যমের সমর্থন।

Updated By: Nov 26, 2012, 05:14 PM IST

দেশের রাজনীতিতে আরও একটা রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটল। আজ দিল্লির যন্তরমন্তরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বন্ধু মণীশ সিসোদিয়া তাঁদের নতুন দলের নাম কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে ঘোষণা করেন।
আন্না হাজারের আন্দোলন থেকে প্রচারের আলোয় আসা কেজরিওয়ালের পার্টিকে নিয়েও জাতীয় সংবাদমাধ্যমের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের দিন আম আদমির পার্টিতে ২৩ সদস্যের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নামও ঘোষণা করা হল। কেজরিওয়ালের দলের শীর্ষপদে সেভাবে বড় নাম না থাকলেও আছেন আন্না হাজারের আন্দোলনের অন্যতম মুখ প্রশান্ত ভূষণ। দলে জাতীয় আহ্বায়ক হলেন কেজরিওয়াল নিজে। সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন পঙ্কজ গুপ্তা। তবে কে কোন পদ পেলেন তা গুরুত্ব না দিয়ে কেজরিওয়াল বললেন তার দল হবে সবার জন্য। তাঁর দাবি, আম আদমির পার্টিতে সবার জন্য যেটা ভাল তা নিয়েই আন্দোলন করা হবে। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এখন তাঁদের লক্ষ্য ভারতের সব গ্রাম-শহরে গিয়ে মানুষের দুঃখ, ক্ষোভের কথা শোনা। এমনও শোনা যাচ্ছে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশের সব কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়াই কেজরিওয়ালের পার্টির মূল লক্ষ্য। তবে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনকে সম্বল করে গড়ে ওঠা এই পার্টি সাধারণ মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ কেজরিওয়ালের গুরু আন্না হাজারেরই কোনও আস্থা নেই এই দলের প্রতি!
প্রসঙ্গত, গত শনিবার প্রায় ৩০০ জন সমর্থক নিয়ে `কনস্টিটিউশন ক্লাব`-এর এক সভায় কেজরিওয়াল দলেন নাম প্রস্তাব করে ছিলেন। তাঁর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। একই সভায় গৃহীত হয় দলের সংবিধানও। ময়াঙ্ক গাঁধী সংবিধানের খসড়া পেশ করলে তা সমর্থন করেন চন্দ্রমোহন। নাম ঠিক হয়ে গেলেও কেজরিওয়াল এর আগেই জানিয়েছিলেন হবে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে সোমবার, যন্তর মন্তরে।
তবে আজকের সভায় সমর্থকদের পাশাপাশি সেখানে সংবাদমাধ্যমের ভিড় ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে আন্না হাজারের সেই বহু আলোড়িত দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানী জুড়ে যে আম আদমির সমর্থন মিলেছিল তার পিছনেও অন্যতম কারণ ছিল প্রচারমাধ্যমের সমর্থন। আজকের সভায় কেজরিওয়ালের নতুন দলও প্রচারমাধ্যমের `লাইম লাইট` পেল।
১৯৪৯, ২৬ নভেম্বর দেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার কথা দিনটা মাথায় রেখে, আজ পার্টির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করলেন কেজরিওয়ালরা। মুখে যাই বলা হোক, কংগ্রেস আর বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠে জাতীয় রাজনীতিতে ঠাঁই করে নেওয়াই এখন কেজরিওয়ালের পার্টির প্রাথমিক লক্ষ্য বলে মনে করছেন অনেকেই।

.