Kailash Vijayvargiya: 'মেয়েরা ঘন ঘন বয়ফ্রেন্ড বদলায়', কটূক্তির জেরে কৈলাসকে 'অসুর' বললেন বাবুল
বিজেপি নেতার মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে। বিড়ম্বনায় গেরুয়াশিবির।
জ্য়োর্তিময় কর্মকার: 'অনেকে বলেন, মেয়েরা ঘনঘন বয়ফ্রেন্ড বদলান। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও তেমনই'। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নিশানায় নীতীশ কুমার। 'এরা নারীবিদ্বেষী অসুর', পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণে নারীদের সম্মানরক্ষায় জোর দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলেছিলেন, 'আমরা নারীদের অপমান করছি। কিন্তু আমাদের নারীদের অপমান না করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। নারীরা অপমানিত হন, এমন যেকোনও কথা বলা বিরত থাকার সংকল্প করতে হবে। নারী গৌরব রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে অনেক বড় পুঁজি তৈরি হতে চলেছে। এটা আমি দেখতে পাচ্ছি। আর সেকারণেই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি'। তাহলে বিহারের রাজনৈতিক পালাবদলে কেন 'বয়ফ্রেন্ড' মন্তব্য বিজেপি নেতার? বিতর্ক তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই, দিল্লির আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগ
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে তখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। বিহারে বিজেপি সঙ্গত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন সরকার গঠন করেছেন তিনি। প্রথমে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন, তারপর নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নেন নীতীশ কুমারই। কেন এমন সিদ্ধান্ত? ক্ষুদ্ধ বিজেপি ৷ তাদের দাবি, বিহারের জনগণের আদেশকে অসম্মান করলেন নীতীশ।
এদিন মধ্যপ্রদেশের ইন্ডোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,'বিহারে সরকার বদলেছে। অনেকে বলেন, মেয়েরা ঘনঘন বয়ফ্রেন্ড বদলান। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও তেমনই। কখন কার হাত ধরবেন বা ছাড়বেন, কেউ জানে না'। এমনকী, নিজের বক্তব্যে 'বিদেশি' শব্দও ব্যবহার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিলকিস বানোর ধর্ষকরা 'ভালো সংস্কারের ব্রাহ্মণ', বিস্ফোরক দাবি বিজেপি বিধায়কের
একসময়ে বিজেপি সাংসদ ছিলেন, এখন তৃণমূল বিধায়ক। কৈলাস বিজয়বর্গীর মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, বাংলার মাটি মা দুর্গার। বাংলা বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়, এরা নারীবিদ্বেষী অসুর'। এর আগে, যখন বাংলার দায়িত্বে ছিলেন, তখন কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ ৩ বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার পর নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকেদের খুনের হুমকি দেওয়া হয়! অভিযোগ দায়ের করা হয় সরশুনা ও বোলপুর থানায়।