WhatsApp-এ পাঠানো আইনি চিঠি বৈধ, জানাল বম্বে হাইকোর্ট
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঠানো আইনি চিঠিকে বৈধতা দিল আদালত। সম্প্রতি এক মামলার শুনানিতে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো আইনি চিঠিতে ব্লু টিক থাকলে তা বৈধ বলে বিবেচনা করবে আদালত। একটি ক্রেডিট কার্ড ঋণখেলাপি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ আদালতের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঠানো আইনি চিঠিকে বৈধতা দিল আদালত। সম্প্রতি এক মামলার শুনানিতে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো আইনি চিঠিতে ব্লু টিক থাকলে তা বৈধ বলে বিবেচনা করবে আদালত। একটি ক্রেডিট কার্ড ঋণখেলাপি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ আদালতের।
২০১০ সালে একটি ক্রেডিট কার্ড ঋণখেলাপির মামলায় বম্বে হাইকোর্ট হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো আইনি চিঠিকে বৈধতা দিয়েছে। ওই ঘটনায় মুম্বইয়ের নালাসোপারা এলাকার বাসিন্দা রোহিদাস যাদব নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৮৫,০০০ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ দায়ের করে ব্যাঙ্ক। ২০১১ সালে ৮ শতাংশ সুদ সহ ওই টাকা ফেরত চায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সুদে আসলে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১.১৭ লক্ষ টাকা। এর পরেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় ২০১৫ সালে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ব্যাঙ্ক।
ফের বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন?
এর মধ্যে বাসস্থান বদল করেন অভিযুক্ত রোহিদাস। ফলে তাঁর বাড়িতে আইনি চিঠি বদলাতে পারেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে ফোন নম্বর কাছে থাকায় হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কাছে আইনি চিঠি পাঠিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক। পিডিএফ ফরম্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই নোটিসের প্রতিলিপি।
ব্যাঙ্কের আইনজীবী আদালতকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপে রোহিদাসকে যে পিডিএফ ফাইল পাঠানো হয়েছিল তা পড়েছেন ওই ব্যক্তি। কারণ ওই ডকুমেন্টের পাশে ফুটে উঠেছে ব্লু টিক। এই প্রযুক্তিকে এক ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তিকে কোনও ছবি, মেসেজ বা ফাইল পাঠালে দ্বিতীয় ব্যক্তি সেই ফাইল দেখলে বা পড়লে জানতে পারেন প্রথম ব্যক্তি।
এর পর আদালত এক নির্দেশিকায় আগামী শুনানিতে ওই ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা পেশ করতে বলেছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, দরকার পড়লে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করবে আদালত।