কেজরিওয়ালের ধরনা বেআইনি, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কেজরিওয়ালের বাড়িতে মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে আপ বিধায়কদের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কেজরিওয়াল-উপরাজ্যপালের সংঘাতে এবার হস্তক্ষেপ করল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধানকে আদালতের সাফ জানিয়ে দেয় যে, কারও বাড়িতে ঢুকে এভাবে ধরনায় বসা যায় না। প্রসঙ্গত, আইএএস অফিসারদের 'কর্মবিরতি' প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে ৮ দিন ধরে ধরনায় বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপ-মু্খমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন ও গোপাল রাই।
High Court to Delhi Government Lawyer: This can’t be called a strike. You can’t go inside someone’s office or house and hold a strike there.
— ANI (@ANI) June 18, 2018
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কেজরিওয়ালের বাড়িতে মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে আপ বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই আইএএস আধিকারিকরা ধর্মঘটে নেমেছেন বলে অভিযোগ করে আপ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদী ও উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের অঙ্গুলিহেলনে চলছেন আইএএস আধিকারিকরা। এরপরই আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে ৮ দিন ধরে ধরনায় বসেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা।
যদিও, আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই কর্মবিরতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের সাফ কথা, কোনও আইএএস আধিকারিকই ধর্মঘট বা কর্মবিরতিতে নেই। প্রশাসনিক কাজকর্মও তাঁরা সঠিকভাবেই চলচ্ছেন। এমনকি, তাদের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িয়ে না ফেলারও আর্জি জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। তাঁদের পক্ষ থেকে সরাসরি আপের নাম না করে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন আমলারা। আধিকারিকদের অভিযোগ, রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন তাঁরা। তবুও দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
Delhi Govt Lawyer: IAS officers yesterday accepted they are not attending meetings called by ministers
Delhi High Court: Thing is that you’re sitting on a dharna. Who authorized them to sit on a dharna like this?
Lawyer: It’s an individual decision.
Delhi HC: Is it authorized?— ANI (@ANI) June 18, 2018
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, আপ যা করছে তা বেআইনি। এভাবে কোনও সরকারি বাসভবনে বিনা অনুমতিতে ঢুকে দিনের পর দিন ধরনা দেওয়া যায় না। সেই সঙ্গে, সরকারি আধিকারিকদের ধর্মঘটের অভিযোগকেও এদিন নস্যাত্ করেছে আদালত। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর সহযোগীদের এই ধর্না অবস্থানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।