পাশে পেতে অনুদান মমতার পশ্চিমবঙ্গ, নীতীশের বিহারকে
কেন্দ্রে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জেরে এবার বাড়তি আর্থিক সুবিধা পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার। আজই পরিকল্পনা কমিশন ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড-এর আওতায় এই দুই রাজ্যের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। এর ফলে অনুন্নত এলাকা উন্নয়নে দুই রাজ্যের বরাদ্দ বাড়ছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সঙ্কটে থাকা ইউপিএ আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নীতীশ কুমারের সমর্থন আদায় করতে চাইছে। অনিশ্চয়তায় টালমাটাল ইউপিএ। ডিএমকে সমর্থন প্রত্যাহার করার পর থেকেই লোকসভায় সরকারের গরিষ্ঠতা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দুটি অকংগ্রেসশাসিত রাজ্যে বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা খাতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করল যোজনা কমিশন। কেন্দ্রের ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড বা বিআরজিএফ-র আওতায় এই দুই রাজ্যকে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
কেন্দ্রে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জেরে এবার বাড়তি আর্থিক সুবিধা পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার। কালই পরিকল্পনা কমিশন ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড-এর আওতায় এই দুই রাজ্যের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। এর ফলে অনুন্নত এলাকা উন্নয়নে দুই রাজ্যের বরাদ্দ বাড়ছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সঙ্কটে থাকা ইউপিএ আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নীতীশ কুমারের সমর্থন আদায় করতে চাইছে। অনিশ্চয়তায় টালমাটাল ইউপিএ। ডিএমকে সমর্থন প্রত্যাহার করার পর থেকেই লোকসভায় সরকারের গরিষ্ঠতা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দুটি অকংগ্রেসশাসিত রাজ্যে বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা খাতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করল যোজনা কমিশন। কেন্দ্রের ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড বা বিআরজিএফ-র আওতায় এই দুই রাজ্যকে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের জন্য এই বিশেষ পরিকল্পনা বরাদ্দের জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে। যোজনা কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনুন্নত এলাকা উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের বরাদ্দ বাড়বে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। আচমকা পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের জন্য এই আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
ডিএমকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর থেকেই কংগ্রেসের প্রতি সুর অনেকটাই নরম করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নীতীশ কুমার। দুই রাজ্যের সরকারই বহুদিন ধরে কেন্দ্রের কাছে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের জন্য দরবার করছে। সেই দাবি মেটাতে সঙ্কটের এই সময়ে যদি তৃণমূল কংগ্রেস এবং জেডি-ইউয়ের সমর্থন পাওয়া যায়, তাহলে অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে কেন্দ্র।
ডিএমকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর সরকার টিঁকিয়ে রাখতে বাইরে থেকে সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। এর মধ্যে অন্যতম সমাজবাদী পার্টি। লোকসভায় সপার ২২ জন সাংসদ। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে ইতিমধ্যে কংগ্রেসের অবস্থানের বিরোধিতা করেছে সপা। পাশাপাশি সম্প্রতি তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিয়েছেন মুলায়ম সিং যাদব। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, চলতি সপ্তাহেই সপার জনসভায় কেন্দ্র থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতে পারেন মুলায়ম। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল এবং জেডি-ইউয়ের সমর্থন পেলে, আপাতত সঙ্কট এড়াতে পারবে কংগ্রেস। কারণ সপার বাইশজন সাংসদের সমর্থন হারালেও, সেক্ষেত্রে তৃণমূল ও জেডি-ইউয়ের মোট ৩৯ জন সাংসদ কংগ্রেসের পাশে থাকবে। বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় আর্থিক বরাদ্দ বাড়িয়ে সম্ভবত তৃণমূল এবং জেডি-ইউয়ের সমর্থনটাই পাকা করতে চাইছে কংগ্রেস।