ইন্টারনেট, সোশ্যাল সাইটে নজরদারি শুরু সিআইডির
ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে এবার নজরদারি শুরু করছে সিআইডি। সোমবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারের নেতৃত্বে তৈরি করা হচ্ছে সাইবার পেট্রোল সেল।
২০১২ সালে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-মুকুল রায়-দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে পোস্ট করে গ্রেফতার হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। হৈচৈ পড়ে যায়। এরপরও কিন্তু থেমে থাকেনি ফেসবুক পোস্টিং। থামেনি সোস্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে কুত্সা-কিসসা। দিল্লির নির্বাচনই হোক বা সারদা ইস্যু, খাগড়াগড়কাণ্ড, কিংবা নরেন্দ্র মোদীর স্যুট। সবই আসে ফেসবুকের দেওয়ালে। এর পাশাপাশি সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং ব্যবহার করে জঙ্গিদের অবাধ যোগাযোগ। আইএসের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে বেঙ্গালুরু থেকে কৈখালির যুবক গ্রেফতার হওয়ার পরই টনক নড়ে গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল কলের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে আইএস এবং অন্য আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন গোটা পৃথিবী ব্যাপী সদস্য সংগ্রহ করছে। এমনকী, মাওবাদীরাও বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে তাঁদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে সাধারণের মধ্যে। এরপরই আর চুপ করে বসে থাকতে পারেনি কেন্দ্র সরকার।
তিন-চার বছর আগে তৈরি হওয়া ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অরগানাইজেশনকে আরও শক্তিশালী করতে তার মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত RAW প্রধান অলোক যোশীকে। সতর্ক হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারগুলিও। টেলিফোনের পাশাপাশি তাঁরা নজরদারি রাখতে চাইছে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং ইন্টারনেটে। এ রাজ্যেও নয়া সাইবার পেট্রোল সেল তৈরি হচ্ছে। রাজীব কুমারের নেতৃত্বে ছিয়ানব্বই জন সাইবার বিশেষজ্ঞদের রাখা হচ্ছে সিআইডির অধীনস্ত এই সেলে। এঁদের প্রত্যেককেই চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। রাজ্যের অর্থ দফতর ইতিমধ্যেই এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে।