নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস-তৃণমূল

বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। বিলটি বেআইনি ঘোষণার দাবি করেছে তারা। 

Edited By: সোমনাথ মিত্র | Updated By: Dec 13, 2019, 02:35 PM IST
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস-তৃণমূল
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতার চ্যালেঞ্জে একাধিক মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। গত কালই শীর্ষ আদালতে পিটিশন দায়ের করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (Indian Union Muslim League)। বৃহস্পতিবার রাতে সিএবি-এ রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই তৃণমূল ও কংগ্রেসও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধানের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে, এই অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র শীর্ষ আদালতে একটি মামলা করেছেন। একই অভিযোগে পিটিশন দায়ের করেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ করে অসম এবং ত্রিপুরায়। অসমে নামানো হয়েছে আধা সেনা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। বাজারঘাট, স্কুল বন্ধ। ট্রেন চলাচলও কার্যত বন্ধ রাখা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিক্ষোভের আঁচ পড়ছে অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও। এর জেরে সফর বাতিল হয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের। কাকতালীয়ভাবে এই সময় ভারত সফরে আসতে পারছেন না বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীও।

বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। বিলটি বেআইনি ঘোষণার দাবি করেছে তারা। 

আরও পড়ুন- ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই, খবরের কাগজ খুলে দেখুন...’রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া রাহুলের

বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলটি সিলেক্ট পাঠানোর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায় তা। এরপর ১৪টি সংশোধনী প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যাত হয় ভোটাভুটিতে। তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিলটির ভাগ্য। প্রায় ৮ ঘণ্টা বিতর্কের পর পাস হয় বিলটি। ভোটাভুটির সময় ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে রাজ্যসভার অধিবেশনকক্ষে উপস্থিত ছিলেন ২৩০ জন। তার জেরে ম্যাজির ফিগার নেমে দাঁড়ায় ১১৬। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। বিপক্ষে ভোট দেন ১০৫ জন সাংসদ।  

.