Congress President Election: কোন শর্তে কংগ্রেস সভাপতির পদে অশোক গেহলোত?
কংগ্রেসের একটি অংশ অবশ্য মনে করছে যে রাজস্থানে আগামী বছরের নির্বাচনের আগে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। এখনও অবধি, মনে হচ্ছে গত ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবার কংগ্রেস গান্ধী পরিবারের বাইরে একজন সভাপতি পেতে চলেছে।
![Congress President Election: কোন শর্তে কংগ্রেস সভাপতির পদে অশোক গেহলোত? Congress President Election: কোন শর্তে কংগ্রেস সভাপতির পদে অশোক গেহলোত?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/20/390262-gehlot.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কংগ্রেস বৃহস্পতিবার থেকে দলের সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে। সোনিয়া গান্ধী নো-অবজেকশন দেওয়ার পরে এবার শশী থারুর নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোতকে এই পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে তিনি তাঁর বর্তমান পদ ছাড়তে নারাজ। অশোক গেহলোতের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে যে তিনি ১৭ অক্টোবরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার তার কাগজপত্র জমা দিতে পারেন। তবে তিনি এখনও রাহুল গান্ধীকে দলের প্রধান হিসাবে ফিরে আসতে রাজি করানোর আশা করছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, দলের শীর্ষ পদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দ রাহুল গান্ধী। মনোনয়ন জমা হওয়ার আগেই তিনি ‘রাহুল গান্ধীকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন’ বলে জানা গিয়েছে।
গেহলোতকে গান্ধী পরিবারের একজন কট্টর অনুগত সৈনিক বলে মনে করা হয়। সোনিয়া গান্ধী তাকে বারবার দলের দায়িত্ব নিতে বলেছেন। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী শচীন পাইলটকে রাজস্থানে দায়িত্ব নিতে দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে শচীন পাইলটের দিল্লিতে আসা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়ছে। মনে করা হচ্ছে যে রাজস্থানে বদল প্রায় নিশ্চিত।
আরও পরুন: Electoral reforms: বেনামী রাজনৈতিক অনুদানে কোপ, কমবে কালো টাকার পরিমাণ?
কিন্তু গেহলোত একজন শক্তিশালী নেতা যিনি অতীতে শচীন পাইলট যখনই কোনও বড় ভূমিকা চেয়েছেন তখনই তাঁর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে তিনি তাঁর প্রক্সি হিসেবে একজন অনুগতকে দেখতে চান। তা না হলে তিনি কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে উভয় ভূমিকাই ধরে রাখার জন্য জোর দিতে পারেন।
কংগ্রেসের একটি অংশ অবশ্য মনে করছে যে রাজস্থানে আগামী বছরের নির্বাচনের আগে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।
এখনও অবধি, মনে হচ্ছে গত ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবার কংগ্রেস গান্ধী পরিবারের বাইরে একজন সভাপতি পেতে চলেছে।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন গ্রহণ হওয়ার পরে, প্রয়োজনে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলাফল ১৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।