সাজানো সংঘর্ষেই নিহত ইশরত, মেনে নিল হাইকোর্ট
ভুয়ো সংঘর্ষেই ইশরত জাহান শেখকে খুন করেছিল গুজরাত পুলিস! বিশেষ তদন্তকারী এই রিপোর্ট মেনে নিল গুজরাত হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করার জন্য আর আর ভার্মার নেতৃত্বাধীন সিট-কে নির্দেশও দিয়েছে বিচারপতি জয়ন্ত প্যাটেল এবং বিচারপতি অভিলাশা কুমারীর বেঞ্চ।
ভুয়ো সংঘর্ষেই ইশরত জাহান শেখকে খুন করেছিল গুজরাত পুলিস! বিশেষ তদন্তকারী এই রিপোর্ট মেনে নিল গুজরাত হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করার জন্য আর আর ভার্মার নেতৃত্বাধীন সিট-কে নির্দেশও দিয়েছে বিচারপতি জয়ন্ত প্যাটেল এবং বিচারপতি অভিলাশা কুমারীর বেঞ্চ।
২০০৪ সালের ১৫ জুন আহমেদাবাদের উপকণ্ঠে গুজরাত পুলিসের অপরাধ দমন শাখার সদস্যদের গুলিতে নিহত হন মুম্বইয়ের গুরু নানক খালসা কলেজের ১৯ বছরের কলেজ ছাত্রী ইশরত। তাঁর সঙ্গী জাভেদ শেখ ওরফে প্রাণেশ পিল্লাই, আমজাদ আলি রানা ওরফে সেলিম এবং জিশান জোহরও আহমেদাবাদ পুলিসের তত্কালীন ডিআইজি ডি জি বানজারার নেতৃত্বাধীন টিমের এই `অপারেশন`-এ মারা যান।
সেলিম এবং জিশান পাকিস্তানের বাসিন্দা। গুজরাত পুলিসের অভিযোগ, এরা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদী। ইশরত এবং জাভেদকে লস্করের স্লিপার সেলের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিসের তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুন করার জন্যই আহমেদাবাদে এসেছিলেন ইশরত এবং তাঁর সঙ্গীরা।
যদিও ইশরতের মা শামিমা কওসর সরাসরি গুজরাত পুলিসের এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেই সঙ্গে মেয়ের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। গত বছরের অগাস্ট মাসে ইশরত কাণ্ডের তদন্তের জন্য প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর আর কে রাঘবনের নেতৃত্বাধীন সিট-কে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এক মাস পর রাঘবন এই দায়িত্ব পালনে তাঁর অপারগতার কথা জানানোয় সিট-এর প্রধান হিসেবে আর আর ভার্মাকে নিযুক্ত করা হয়।
গত শুক্রবার গুজরাত হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে সিট জানিয়েছিল, ইশরত এবং তাঁর সঙ্গীদের ঠাণ্ডা মাথায়, সাজানো `এনকাউন্টার`-এ খতম করে ডি জি বানজারার টিম। সেই সঙ্গে নিহতদের লস্কর-কানেকশন এবং মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুন করার জন্য আহমেদাবাদে আগমনের অভিযোগও কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয় এই রিপোর্টে।
এদিন সিট-এর আনা অভিযোগের সারবত্তা মেনে নিল হাইকোর্ট। আর সেই সঙ্গেই নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়লেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী।