রেসকিউ হোম থেকে মায়ের কাছে ফিরছেন শ্বেতা বসু প্রসাদ
ওয়েব ডেস্ক: স্বস্তি পেলেন অবৈধ দেহব্যবসা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। দু মাস ধরে রেসকিউ হোমে থাকা শ্বেতাকে মুম্বইয়ে তাঁ। মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হল।
২৩ বছরের জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই অভিনেত্রীকে আজই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্বেতার মায়ের অনুরোধ মেনে নিয়ে হায়দ্রাবাদের দায়রা আদালত এই রায় দেয়। তবে দেহব্যবসায় শ্বেতার ক্লায়েন্টরা কিন্তু বিপদে পড়তে চলেছেন। শ্বেতা ক দিনের মধ্যে আদালতের কাছে জানাবেন দেহ ব্যবসায় কারা কারা জড়িত, কারাই বা এসব চক্রের মাথা, কারাই বা এত টাকা খরচ করে এইসব কাজ করেন।
পুলিস সূত্রের খবর অনুযায়ী জেরার মুখে মকড়ি ছবিতে অভিনয় করে সেরা শিশুশিল্পীর জাতীয় পুরস্কার এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সিনেমায় কোনও কাজ না পেয়েই তিনি দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িতে হন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদের এক হোটেল থেকে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে পুলিস।
কুটুম্ব, কাহানি ঘর ঘর কি, করিশমা কা করিশমা ও দ্য ম্যজিক মেকআপ বক্স সিরিয়ালে অভিনয়ের পর ২০০২ সালে বিশাল ভরদ্বাজের মকড়ি ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ শ্বেতার। এরপর ২০০৫ সালে নাগেশ কুকনুরের ইকবাল, ওয়াহ! লাইফ হো তো অ্যায়সি ও ২০০৬ সালে রাম গোপাল ভার্মার ডরনা জরুরি হ্যায় ছবিতে অভিনয় করেন শ্বেতা।
এরপর গত ৮ বছর বলিউডে কাজ পাননি শ্বেতা। ২০০৮ সালে তেলুগু ছবি কোথা বাঙ্গারু লোকামে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলা ছবি একটি নদীর গল্পোতেও অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। কিন্তু বলিউড কেরিয়ার থেমে গিয়েছিল। এর আগেও একটি তেলুগু চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে দেহব্যবসার সঙ্গে শ্বেতার যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।