Cow Smuggling: বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলার আর্জি, তিহাড় জেলেই ঠাঁই হল অনুব্রতকন্যার
Cow Smuggling:প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। সিবিআই সূত্রে খবর, ৮ বছরে সুকন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ। ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুকন্যার আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই
জ্যোতির্ময় কর্মকার: গোরুপাচার মামলায় অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করল না ইডি। তাই বাবার মতোই সুকন্যা মণ্ডলের গন্তব্য এখন তিহাড় জেল। আগামী ১২ মে পর্যন্ত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকবেন সুকন্যা। গত বুধবার টানা জেরার পর সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না এমন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। আজ তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত।
আরও পড়ুন-কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড একাধিক গ্রাম; এলাকা বিদ্যুত্ হীন, ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকশো বাড়ি
এদিন শুনানিতে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলার আবেদন করেন সুকন্যা। পাশাপাশি জেলে কিছু ধর্মীয় বই নিয়ে যাওয়ারও আবেদন করেন। অনুব্রত কন্যার জেলে যাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অঝধিকারী। তিনি বলেন, তৃণমূল নতুন খেলা দেখাল। এই প্রথম স-বংশ চুরি দায়ে ভিতরে। রাজ্যের মনুষকে বলছি একটা হুইল চেয়ার ও ফুটবল সুফিয়ানের বাড়িতে পাওয়া যাবে। কেউ কিনতে চাইলে কিনে নেবেন।
সুকন্যা মণ্ডলের তিহাড় যাত্রা নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এটা দোষ প্রমাণের আগেই জেলে পাঠানো হয়েছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও এমনটা করা হয়েছিল। তাপস পালের ক্ষেত্রেও এমন করা হয়েছিল। তবে য়ারা এসব কথা তুলছেন সেই তিনি এবাং তাঁর ভাতৃসকল বিজেপিয়ে যোগ না দেল এতদিন জেলেই থাকতেন। উনি ওয়াশিং মেশিনে কালো থেকে সাদা হওয়ার চেষ্টা করছেন। সকলের সামনে হাত পেতে টাকা নিয়েছেন তিনি। ওঁর এসব কথা বলা মানায় না।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল সুকন্য়া মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, একাধিকবার সুকন্যা মণ্ডলের বয়ানে অসংগতি পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর সম্পত্তির হিসেবই তিনি ঠিকঠাক দিতে পারছিলেন না। একসময় মনে করা হচ্ছিল সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু বারবার জিজ্ঞসাবাদে উঠে আসে যে তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে সবটাই জানতেন সুকন্যা।
অনুব্রতর গ্রেফতারের আগেই ইডি গ্রেফতার করেছিল তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও তাঁর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীষ কোঠারি। তাদের জেরা করে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে ইডির। এরপর বহু আইনি বাধা পেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতা করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অনুব্রতর ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে। সেখানেই আছেন সারগল হোসেন ও মণীষ কোঠারি। সূত্রের খবর সুকন্যাকে যখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তখনই তিনি জানিয়েছেন সবকিছু জানেন বাবা ও মণীষ কাকু। কিন্তু সম্প্রতি বারবার ইডির সমন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুকন্যা। আজ তাঁকে টানা জেরার পর তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
সুকন্যা মণ্ডলের আয়কর রিটার্নে মিলেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। সিবিআই সূত্রে খবর, ৮ বছরে সুকন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ। ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুকন্যার আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কোন জাদুতে? চার্জশিটে প্রশ্ন সিবিআই তদন্তকারীদের। শুধু সুকন্যা নয়, বিপুল হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেরও। ৮ বছরে অনুব্রতর আয় বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণ।