শেষ হল সিপিআইয়ের পার্টি কংগ্রেস
শেষ হল সিপিআই-এর একুশতম পার্টি কংগ্রেস। সেই সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়লেন এবি বর্ধন। তাঁর জায়গায় অভিষিক্ত হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের সিপিআই নেতা সুধাকর রেড্ডি। শনিবার দলের নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের বৈঠকে তাঁর নাম চূড়ান্ত হয়। এদিন সিপিআই এর ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটিও গঠিত হয়েছে।
শেষ হল সিপিআই-এর একুশতম পার্টি কংগ্রেস। সেই সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়লেন এবি বর্ধন। তাঁর জায়গায় অভিষিক্ত হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের সিপিআই নেতা সুধাকর রেড্ডি। শনিবার দলের নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের বৈঠকে তাঁর নাম চূড়ান্ত হয়। এদিন সিপিআই এর ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটিও গঠিত হয়েছে।
চলতি মাসের ২৭ তারিখে পাটনায় শুরু হয়েছিল সিপিআই-এর একুশতম পার্টি কংগ্রেস। শনিবার তা শেষ হল। এদিনই সিপিআইএর সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়লেন এবি বর্ধন। ষোল বছর এই পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সিপিআই পার্টির নিয়ম অনুযায়ী, চার দফার বেশি সময় দলে সাধারণ সম্পাদক থাকা যায় না। তাই আগেই পদ ছাড়ার কথা জানিয়ে রেখেছিলেন এবি বর্ধন। পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিন দলীয় পদ ছাড়লেন তিনি।
১৯৯৬ সালে তৃতীয় ফ্রন্টের সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন সিপিআইয়ের তত্কালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিত্ গুপ্ত। তিনি মন্ত্রিসভায় যাওয়ায়, অভয়ভূষণ বর্ধনকে সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। শনিবার পার্টি কংগ্রেস থেকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে উঠে এলেন সুধাকর রেড্ডি। অন্ধ্রপ্রদেশে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন তিনি। দুবার সিপিআইয়ের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার কথা জানিয়েছেন সুধাকর রেড্ডি।
পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিনে সিপিআইয়ের ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটি গঠিত হয়েছে। ৩১ জনের ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটি থেকে শারীরিক কারণে বাদ গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নন্দগোপাল ভট্টাচার্য। তাঁর জায়গায় এসেছেন মেদিনীপুরের সিপিআই সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা। এছাড়াও রাজ্য থেকে রয়েছেন মঞ্জু মজুমদার, পল্লব সেনগুপ্ত এবং গুরুদাস দাশগুপ্ত। একই সঙ্গে গঠিত হয়েছে ১২৫ জনের জাতীয় পরিষদ। তৈরি হয়েছে নতুন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী। ৯ জনের সম্পাদকমণ্ডলীতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছেন গুরুদাস দাশগুপ্ত।