পয়লায় কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা সিপিআইএমের `জাঠা`র

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বরাবরই কংগ্রেস ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করে এসেছে সিপিআইএম। কিন্তু এই দুই বড় রাজনৈতিক শিবিরের বিকল্প নীতি কী হওয়া সম্ভব তা নিয়ে এবারে দেশজুড়ে প্রচারে নেমেছে সিপিআইএম। দেশের চার প্রান্ত থেকে চারটি জাঠা বিভিন্ন শহর গ্রাম ঘুরে দিল্লি পৌঁছবে। ইতিমধ্যেই সিপিআইএমের একাধিক জাঠা ভারতের বিভিন্ন গ্রাম শহরে ঘুরে নিজেদের বিকল্প নীতির কথা প্রচার করছে। অসমের জাঠাটি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা ঘুরছে। পরের গন্তব্য রায়গঞ্জ। দাক্ষিণাত্যে প্রচার চালাচ্ছে কন্যাকুমারী থেকে বেরনো জাঠাটি।

Updated By: Feb 26, 2013, 10:35 PM IST

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বরাবরই কংগ্রেস ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করে এসেছে সিপিআইএম। কিন্তু এই দুই বড় রাজনৈতিক শিবিরের বিকল্প নীতি কী হওয়া সম্ভব তা নিয়ে এবারে দেশজুড়ে প্রচারে নেমেছে সিপিআইএম। দেশের চার প্রান্ত থেকে চারটি জাঠা বিভিন্ন শহর গ্রাম ঘুরে দিল্লি পৌঁছবে। ইতিমধ্যেই সিপিআইএমের একাধিক জাঠা ভারতের বিভিন্ন গ্রাম শহরে ঘুরে নিজেদের বিকল্প নীতির কথা প্রচার করছে। অসমের জাঠাটি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা ঘুরছে। পরের গন্তব্য রায়গঞ্জ। দাক্ষিণাত্যে প্রচার চালাচ্ছে কন্যাকুমারী থেকে বেরনো জাঠাটি।
পয়লা মার্চ কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা দেবে সিপিআইএমের সংঘর্ষ বার্তা জাঠা। সেই জাঠার নেতৃত্ব দেবেন সিপিআইএম দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। থাকবেন বিমান বসু। দলীয় পতাকা নেড়ে কলকাতা জাঠার সূচনা  করবেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা পরিক্রমা শুরু করে দিয়েছে সিপিআইএমের অসম থেকে আসা জাঠাটি।
অসম থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ-বার্তা জাঠাটি সোমবারই পৌঁছয় এরাজ্যে। জাঠার নেতৃত্বে অসমের সিপিআইএম নেতা নুরুল হুদা, উদ্ধব বর্মন এবং এরাজ্যের মৃদুল দে।
 
মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার থেকে সোনাপুর, ফালাকাটা এবং ধূপগুড়ি হয়ে জাঠা পৌঁছয় জলপাইগুড়িতে। জাঠাকে স্বাগত জানায় সিপিআইএম কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ।
 
দুপুরের পর জাঠা রওনা দেয় শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। ফুলবাড়িতে জাঠাকে স্বাগত জানায় অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার এবং অন্য সিপিআইএম নেতারা। এরপর শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে জাঠাযাত্রীদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী।
 
সংঘর্ষ-বার্তা জাঠায় সিপিআইএম দাবি তুলেছে  দেশের সকলের জন্য দুটাকা কেজি দরে ৩৫ কেজি চাল, গম পৌঁছে দেওয়ার। তাঁরা দাবি জানিয়েছে, সবার জন্য স্বল্পমূল্যে বাসস্থানেরও।
 
আদিবাসীদের জমির পাট্টা, নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধির মতো ইস্যু নিয়েও প্রচারে সরব হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কেন দেশ জুড়ে এই জাঠার পরিকল্পনা? কেরালায় কোঝিকোরে পার্টি কংগ্রেসে সিপিআইএম সিদ্ধান্ত নেয় তৃতীয় বিকল্প তৈরির আগে নিজেদের শক্তি বাড়ানো জরুরি। দেশ জুড়ে এই মুহূর্তে সেই শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যেই জাঠার কর্মসূচি নিয়েছে সিপিআইএম।
 

Tags:
.