DA, Dearness Allowance: '১২৫ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়া হয়েছে', সুপ্রিম কোর্টে জানাল রাজ্য
ডিএ মামলায় এবার রাজ্য সরকার-সহ সবপক্ষকে এবার নোটিশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর।
জ্যোর্তিময় কর্মকার: ৪১ কোটি ৭৭০ কোটি টাকা বকেয়া! ডিএ মামলায় এবার রাজ্য সরকার-সহ সবপক্ষকে এবার নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর।
কেন্দ্রীয় হারে কি ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা? কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। হলফনামায় উল্লেখ, 'হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে'। এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি বিবেক মহাশ্বেরী ও বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
শুনানিতে অভিষেক মনু সিং সিংভি বলেন, 'এই মুহুর্তে ডিএ বাবদ বকেয়া ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এটা রাজ্যের কাছে বিপুল আর্থিক বোঝা। রাজ্য সরকার বারবার ডিএ মেটাচ্ছে। এমনটা নয় যে, ডিএ দেওয়া হচ্ছে না'। আদালতে তিনি জানান, 'এখনও পর্যন্ত ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশমতো সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার কথা। কিন্তু পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বছরে দু'বার এরিয়ার-সহ ডিএ দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে। সেটা কখনই সম্ভব নয়'।
আরও পড়ুন: মালাবদলের পরই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কনে!
এদিকে পালটা সওয়ালে কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন বলেন, 'রাজ্য সরকারি কর্মচারী বছরে দু'বা ডিএ চাইছেন, এমনটা নয়। ডিএ-র ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া কনজিসমার্স ইনডেক্স মেনে চলা হয়। সেক্ষেত্রে যদি অল ইন্ডিয়া কনজিসমার্স ইনডেক্স বছরে দু'বার পরিমার্জন করা হয়, সেক্ষেত্রে বছরে দু'বার ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীও'। দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্য় সরকার-সহ সবপক্ষকে নোটিশ দিয়ে মতামত জানানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে বা স্যাট। সেই নির্দেশই বহাল রাখে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এমনকী, রাজ্যের তরফে রায় পুর্নবিবেচনার আর্জি খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চেও। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য়, তখন হাইকোর্টে ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেছে ইউনিটি ফোরাম নামে একটি সংস্থা। সেই মামলা শুনানি আপাতত স্থগিত।