সন্ত্রাসবাদ ছাড়া বাকি সব অপরাধে মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার কথা প্রস্তাব ল'কমিশনের
সন্ত্রাসবাদে জড়িত অপরাধীদের ছাড়া বাকি যে কোনও অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার কথা বলল ল'কমিশন। ৯ সদস্যের এই ল 'কমিশনের অধিকাংশ সদস্যই মত দিলেন যাবজ্জীবন কারদণ্ডই অপরাধীর পক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। যদিও তিন সদস্যের এই কমিশনের এক সদস্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখার কথা বলেন।
ওয়েব ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে জড়িত অপরাধীদের ছাড়া বাকি যে কোনও অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার কথা বলল ল'কমিশন। ৯ সদস্যের এই ল 'কমিশনের অধিকাংশ সদস্যই মত দিলেন যাবজ্জীবন কারদণ্ডই অপরাধীর পক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। যদিও এই কমিশনের এক পূর্ণ সদস্য ও দুই সরকার মনোনিত সদস্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখার কথা বলেন।
২০ তম ল'কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে মৃত্যুদণ্ড উঠে যাবে। ভারতে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টেছে, তাই এবার আইনেও পরিবর্তন আনা উচিত বলে মনে করছে ল কমিশন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অনুযায়ী, যুদ্ধ কিংবা খুনের মত অপরাধের ক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না।
বর্তমানে যে মৃত্যুদণ্ডের আইন রয়েছে সেটা তৈরি হয়েছিল ১৯৮০ সালে। বিরল থেকে বিরলতম মামলায় এই রায় দেয় আদালত। ল কমিশনের ৩৫ তম রিপোর্টে বলা হল হয়েছে, পুরনো আইন পুনর্বিবেচনা করার জন্য।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রায় বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ দেশ নিষিদ্ধ করেছে মৃত্যুদণ্ড। ৯৮ টি দেশ মৃত্যুদণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১৯৯৫ সালের পর থেকে দেশে মোট ২১ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। গত দশ বছরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত তিনজন আজমল কাসাভ, আফজল গুরু, ও ইয়াকুব মেমনকে। শেষবার সন্ত্রাসবাদীদের ছাড়া ধর্ষণের জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ২০০৪ সালে ধনঞ্জয় চ্যাটার্জিকে।
বর্তমানে দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসির রায় শুনিয়েছে আদালত।