দিল্লিতে শিশু ধর্ষণ: যৌনাঙ্গে মোমবাতি, বোতল ঢুকিয়ে অত্যাচার

পাঁচ বছরের একটি শিশু কন্যাকে টানা দু`দিন ঘরে বন্দি করে ধর্ষণ চালাল মেয়েটির প্রতিবেশী। দিল্লির গান্ধী নগরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ শিশুটিকে চুরি করে ওই দুষ্কৃতী। অভিযোগ দু`দিন ঘরের মধ্যে বন্দী রেখে মেয়েটির উপর পৈশাচিক অত্যাচার চালায় সে। ওই শিশুকন্যার বাবা সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর মেয়ের নিরুদ্দেশের কথা থানায় জানালেও পুলিস উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। উল্টে অভিযোগ, পুলিস শিশুটির বাবাকে টাকার বিনিময় চুপ থাকতে বলে।

Updated By: Apr 19, 2013, 04:06 PM IST

পাঁচ বছরের একটি শিশু কন্যাকে টানা দু`দিন ঘরে বন্দি করে ধর্ষণ চালাল মেয়েটির প্রতিবেশী। দিল্লির গান্ধী নগরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ শিশুটিকে চুরি করে ওই দুষ্কৃতী। অভিযোগ দু`দিন ঘরের মধ্যে বন্দী রেখে মেয়েটির উপর পৈশাচিক অত্যাচার চালায় সে। ওই শিশুকন্যার বাবা সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর মেয়ের নিরুদ্দেশের কথা থানায় জানালেও পুলিস উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। উল্টে অভিযোগ, পুলিস শিশুটির বাবাকে টাকার বিনিময় চুপ থাকতে বলে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শিশুকন্যাটির যৌনাঙ্গে মোমবাতি, বোতল ঢুকিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। শিশুটির ঠোঁট ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। চিকিৎসারত ডাক্তার জানান তিনি চিকিৎসা জীবনে প্রথমবার এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখলেন। তাঁর কথায়, "পরীক্ষায় শিশুটির যৌনাঙ্গে ২০০ মিলিমিটার বোতল, মোমবাতির টুকরো ঢোকানোর ক্ষত দেখেছি আমরা। আমি জীবনে প্রথম এই বর্বরতা দেখলাম।
তিনি আরও জানিয়েছেন, "শিশুটির ঠোঁটে, গালে ক্ষতচিহ্ন। গলায় কালসিটে দেখে অনুমান করা যায় তাকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা চালিয়েছিল ওই দুষ্কৃতী। শিশুটিকে যখন ভর্তি করা হয় তখন তার রক্তচাপ স্বাভাবিকের অনেক নিচে।" 
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে শাহদারার স্বামী দয়ানন্দ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রে খবর। ওই শিশুটির অবস্থা এখনও বেশ আশঙ্কাজনক। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে কিছুই বলতে পারবেন না ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে পুলিস।
গান্ধী নগরের যে আবাসনে ওই শিশু কন্যা ও তার পরিবার থাকে তারই নীচের তলায় থাকে বছর তিরিশের ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে এর থেকে বেশি তথ্য প্রকাশে অস্বীকার করেছে পুলিস।
বুধবার সন্ধেতে ওই দুষ্কৃতীর ফ্ল্যাট থেকে শিশুটির গোঙানি আর আর্তনাদের শব্দ শুনে তার পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে। ফ্ল্যাটটির মালিক পলাতক।
অন্যদিকে, হাসপাতালের সামনে শিশুটির পরিবার, প্রতিবেশী ও কেজরিওয়ালের আম আদিমি পার্টির সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করেন তাঁরা। এর সঙ্গেই ওই শিশুটিকে অন্য কোনও ভাল হাসপাতালে স্থান্তরিত করার দাবিও জানান তাঁরা। এই বিক্ষোভে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত ও দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

.