সওয়াল-জবাব শেষ, শুক্রবার দুপুরে জানা যাবে চার ধর্ষকের সাজা কী হবে
সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হলেও আজ হল না সাজা ঘোষণা। সকলের শাস্তির সওয়াল জবাব শেষ হয়েছে। আগমী শুক্রবার বেলা আড়াইটেয় হবে সাজা ঘোষণা।
সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হলেও আজ হল না সাজা ঘোষণা। সকলের শাস্তির সওয়াল জবাব শেষ হয়েছে। আগামী শুক্রবার বেলা আড়াইটেয় হবে সাজা ঘোষণা। ৩ ঘণ্টা ধরে সওয়াল জবাব চলে।
ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন কী সাজা হয়ে উচিত এই চার অপরাধীর। নিচে কমেন্ট সেকশনে লিখুন আপনার মতামত
২.০৫-- শুক্রবার দুপুর আড়াইটেয় সাজা ঘোষণা করা হবে।
দুপুর ২টো-- ৪ জনের শাস্তির সওয়াল জবাব শেষ।
১১.৪৬টা-- অপরাধীদের প্রাণদণ্ড যাতে না দেওয়া হয় তার আবেদন জানালেন অপরাধীদের আইনজীবী । বললেন, যেহেতু ওদের বয়স কম তাই যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
১১.৩৬টা-- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা আদালত অবমাননার অভিযোগ খারিজ করলেন বিচারক। বললেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত হতেই পারে।
১১.৩৫টা-- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনলেন অভিযুক্ত মুকেশ সিংয়ের আইনজীবী। কারণ শিন্ডে বলেছিলেন, ওই চারজনের ফাঁসি হওয়া উচিত।
১১.২৮টা-- ভিড়ে ঠাসা আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী বললেন, এই চার অভিযুক্ত যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। এই অপরাধকে পূর্বপরিকল্পিত বলেও জানালেন তিনি।
দিল্লির সাফেত ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতে চলছে সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া। আদালতের ৩০৪ নম্বর ঘরে দুই পক্ষের কথা শুনছেন বিচারকরা। এই অপরাধ বিরলতম কিনা তা নিয়ে চলছে সওয়াল জবাব।
ইতিমধ্যেই গণধর্ষণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পবন গুপ্তের শাস্তি নিয়ে সওয়াল জবাব শেষ হয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। এই মামলার বিচার চলাকালীন আদালতে মোট ১৩০টি শুনানি হয়েছে।
১১.২০টা-- মৃতের পরিবারের আইনজীবী দোষীদের ফাঁসির দাবি তুললেন৷ মৃতের পরিবারের আইনজীবীর সওয়াল, এটা বর্বর, নারকীয় ও পৈশাচিক অপরাধ৷ তাই দোষীদের চরম সাজা দেওয়া হোক৷ ফাঁসির সাজা না হলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে৷
ইতিমধ্যেই গণধর্ষণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পবন গুপ্তের শাস্তি নিয়ে সওয়াল জবাব শেষ হয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। এই মামলার বিচার চলাকালীন আদালতে মোট ১৩০টি শুনানি হয়েছে।
১১.১৫টা-- সাজা প্রক্রিয়া শুরু হল।
১১.০৫ টা-- কোর্টে ঢোকার মুখে দূর থেকে চেঁচিয়ে চার অভিযুক্ত বলে উঠল, 'আমরা নির্দোষ'।
সকাল ১০.৩০টা-- চার অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে আসা হল।
সকাল ১০১৫টা- নির্ভয়ার পরিবার বলল, এমন রায় দেওয়া হোক যা ইতিহাস হয়ে থাকে।
সকাল ১০.০০টা-- অভিযুক্ত বিনয় শর্মার মা বললেন, আমার সন্তান যদি রাজনীতিবিদের ছেলে হত তাহলে এতসব হত না।
সকাল ৯.৪৫-- বিজেপি নেতা শাহনাওয়াজ হুসেন বললেন, আশা করছি ওই চার অপরাধির ফাঁসি হবে।
মঙ্গলবারই দিল্লি গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চার দুষ্কৃতী বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, পবন ও মুকেশকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট। গত বছর ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির চলন্ত বাসে ছয় দুষ্কৃতীর গণধর্ষণ আর পৈশাচিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন বছর ২৩-এর প্যারামেডিক্যালের এক ছাত্রী।
মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা লড়েও শেষ পর্যন্ত হার মানে মেয়েটি। এই ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ হয়। নজিরবিহীন প্রতিবাদের জেরে আইন বদলানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছ`জনের মধ্যে জেলেই মৃত্যু হয়েছে এক অভিযুক্ত রাম সিংয়ের।
ধর্ষিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, বছর ২৩- র ওই তরুণীর শরীরে এমন ভাবে লোহার রড ঢোকানো হয়েছিল যে ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ বেরিয়ে এসেছিল দেহের বাইরে। রায়ে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বিচারক খন্না বলেন, শুধু আঘাত করার জন্য এতটা নৃশংস কেউ হয় না। গণধর্ষণ ও খুনের পাশাপাশি মুকেশ-বিনয়-অক্ষয় ও পবনকে অপহরণ-ডাকাতি-চক্রান্ত-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মতো মোট ১৩টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
ঘটনার রাতে ওই বাসে অবশ্য ছিল মোট ছ’জন। শুনানি শুরু হওয়ার পর মার্চ মাসে তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত রাম সিংহ। সে-ও এই সব ক’টা অপরাধেই জড়িত ছিল বলে এ দিন জানান বিচারক খন্না। ষষ্ঠ অভিযুক্তের বয়স আঠেরো না পেরোনোয় তার বিচার হয়েছে কিশোর অপরাধীদের জন্য বিশেষ আদালতে। সবে দশ দিন আগেই সংশোধনাগারে তিন বছর কাটানোর শাস্তি হয়েছে তার। যদিও ঘটনার দিন সব চেয়ে নৃশংস আচরণ ছিল ওই নাবালকেরই।