লাজপত নগর বিস্ফোরণ মামলা, পুলিসকে তিরস্কার হাইকোর্টের
১৯৯৬-এর দিল্লির লাজপত নগর বিস্ফোরণ মামলায় আজ দিল্লি দুর্বল তদন্তের জন্য পুলিসকে ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাই কোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্ত দু`জন মহম্মদ আলি ভট এবং মির্জা নিসার হুসেনকে বেকসুর খালাস ককে আদালত। পাশাপাশি অপর অভিযুক্ত জাভেদ আহমেদ খানের ফাঁসির আদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯৯৬-এর দিল্লির লাজপত নগর বিস্ফোরণ মামলায় আজ দিল্লি দুর্বল তদন্তের জন্য পুলিসকে ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাই কোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্ত দু`জন মহম্মদ আলি ভট এবং মির্জা নিসার হুসেনকে বেকসুর খালাস ককে আদালত। পাশাপাশি অপর অভিযুক্ত জাভেদ আহমেদ খানের ফাঁসির আদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিসের ২০০ পাতার অর্ডারের উল্লেখ করে দিল্লি হাই কোর্ট বলেছে পুলিস ঘটনার তদন্তের প্রতি লঘু আচরণ করেছে। "ঘটনাটির তদন্তের ন্যূনতম মান রাখতে পারেনি দিল্লি পুলিস। টেস্ট আইডেন্টিফিকেসন প্যারেড হয়নি, গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য নথিভুক্ত করা হয়নি। এমনকী রিপোর্টে দিল্লির ডাইরিও ছিল না।"
অভিযুক্ত চার, নৌশাদ, আলি ভট, মির্জা নিসার হুসেন এবং জাভেদ আহমেদ খান তাঁদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আর্জি জানান। নিম্ন আদালত ৬ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। ফারুক আহমেদ খান এবং ফরিদা দর অভিযুক্ত হলেও তাঁদের সাত বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। তাদের কারাবাসের মেয়াদ সাত বছরের বেশি হওয়ায় তারা মুক্তি পায়।
লাজপত নগর মার্কেট বিস্ফোরণ ঘটনায় মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। উপরুক্ত ছ`জন ছাড়াও মির্জা ইফতিকার, লাতিফ আহমেদ ওয়াজা সৈয়দ মকবুল এবং আবদুল গনির বিরুদ্ধেও মামলা শুরু হয়।
১৯৯৬-এর ২১ মে দিল্লির লাজপত নগর সেন্ট্রাল মার্কেটে তীব্র বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩৯ জন।