দিল্লিতে একঘরে মমতা, ক্ষোভ ফেসবুকে
সংসদে তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পরও পিছু হঠতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য ফের বিরোধীদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। এনিয়ে আজ ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতা জানি। সীমাবদ্ধতার কারণেই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। আমরা ভেবে ছিলাম, যাঁরা খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তাঁদের পাশে পাবো। কিন্তু নানা অছিলায় তাঁরা পাশে দাঁড়ালেন না। কারা সরকারকে বাঁচালেন তা পরিষ্কার।"
সংসদে তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পরও পিছু হঠতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য ফের বিরোধীদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। এনিয়ে আজ ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন----
"আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতা জানি। সীমাবদ্ধতার কারণেই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। আমরা ভেবে ছিলাম, যাঁরা খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তাঁদের পাশে পাবো। কিন্তু নানা অছিলায় তাঁরা পাশে দাঁড়ালেন না। কারা সরকারকে বাঁচালেন তা পরিষ্কার।"
অন্যদিকে, মনমোহন সিং সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে শেষপর্যন্ত জাতীয় রাজনীতিতে একঘরে হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রয়োজনীয় সংখ্যায় সাংসদদের সমর্থন না থাকায় আজ লোকসভায় খারিজ হয়ে যায় তৃণমূলের অনাস্থা প্রস্তাব। অন্যান্য দলের কাছে আর্জি জানিয়ে সমর্থন পাওয়া তো দূরের কথা, অনাস্থা প্রস্তাবে দলের সব সাংসদকেও পাশে পেল না তৃণমূল। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেন না কবীর সুমন।
এমনকী, জোটসঙ্গী এসইউসিআই-ও অনাস্থা প্রস্তাবের পাশে দাঁড়ালো না। পাশে দাঁড়ানোর প্রাথমিক ভরসা দিয়েছিলেন এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা। কিন্তু, সংখ্যার কারণে লোকসভায় প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বুঝতে পেরে শেষপর্যন্ত নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।
তবে, নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি-র ১৮ জন সাংসদের মধ্যে তিনজন অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। অর্থাত্, সব মিলিয়ে তৃণমূলের অনাস্থায় স্বাক্ষর করেন ২১ জন সাংসদ।
অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা খারিজ করে দেন লোকসভার অধ্যক্ষ মীরা কুমার। কারণ, অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে কমপক্ষে পঞ্চাশ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন।
২০১৪-র লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিকল্প জোটের কথা ভাবছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রয়াসে কাদের তিনি পাশে পেতে পারেন, তা বুঝতেই সম্ভবত হার নিশ্চিত জেনেও অনাস্থা প্রস্তাবের কৌশল গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু, প্রায় কোনও দলই তার পক্ষে না দাঁড়ানোয় বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করে জাতীয় রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে, প্রণববাবুকে সমর্থন করে মুখরক্ষার চেষ্টা করেন তিনি। ওই ঘটনার পর দিল্লির রাজনীতিতে জমি শক্ত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের মাস্টার স্ট্রোক দিতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর নিঃসঙ্গতা আরও বেড়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।