টাকা দিলেই দিল্লি মেট্রোর শৌচাগারে নির্জনে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ-জি মিডিয়ার বিস্ফোরক স্টিং অপারেশন
ঘণ্টায় কেউ নেন ৩০০ টাকা, কেউ নেন ৫০০ টাকা। ওই টাকাটা দিতে পারলেই দিল্লি মেট্রোর শৌচালয়ে অথবা কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ঘরে একেবারে নির্জনভাবে দুজনে থাকার সুযোগ মিলবে। আর প্রেমিক-প্রেমিকারা এই `অফারের` সুযোগও নিচ্ছেন খুব।
ঘণ্টায় কেউ নেন ৩০০ টাকা, কেউ নেন ৫০০ টাকা। ওই টাকাটা দিতে পারলেই দিল্লি মেট্রোর শৌচালয়ে অথবা কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ঘরে একেবারে নির্জনভাবে দুজনে থাকার সুযোগ মিলবে। আর প্রেমিক-প্রেমিকারা এই `অফারের` সুযোগও নিচ্ছেন খুব।
তেমনই এক চাঞ্চল্যকর স্টিং অপারেশনের ভিডিও ধরা পড়ল জি নিউজে। গোপন ক্যামেরায় পর্ন ছবি ফাঁস হওয়ার পর দিল্লি মেট্রোয় এই নতুন বিতর্ক নিয়ে অস্বস্তিতে প্রশাসন।
এই স্টিং অপারেশনে দেখানো হয়েছে জি মিডিয়ার এক রিপোর্টার কাস্টমার সেজে মেট্রোর এক কর্মীর কাছ থেকে ঘরভাড়া চাইছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেট্রোর কর্মী ঘণ্টায় ৩০০ টাকা চাইছেন ঘর ভাড়া হিসাবে। তবে টয়লেটে সেই রিপোর্টার তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে এক ঘণ্টা কাটাতে চাইলে কম নেবেন বলে গোপন ক্যামেরায় জানালেন।
গোপন ক্যামেরায় তোলা সেই বিতর্কিত সিডিটি দিল্লি মেট্রোর প্রধানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি মেট্রোয় পরিষ্কার ও টয়লেট রক্ষণাবেক্ষণ করেন প্রাইভেট এজেন্সির কর্মীরা। স্টিং অপারেশনে দেখা যাচ্ছে সেইসব প্রাইভেট এজেন্সির কর্মীরাই এই কাজ করছেন। তবে এর পিছনে দিল্লি মেট্রোর উপরমহলের হাত আছে কি না তা নিয়ে তদন্ত শুরু হতে পারে।
ক মাস আগে দিল্লি মেট্রোর সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। মেট্রোর কামরায় ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বসে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকার ভিডিও আপলোড করা হল এক আন্তর্জাতিক পর্ন সাইটে। এতে নতুন করে তৈরি হয়েছে জলঘোলা। শোনা গিয়েছে সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে মেট্রোর সিড়ি থেকে কামরায় ওঠা, মেট্রো চলাকালীন ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর মুহূর্তের ঘটনা।
সিসিটিভি ক্যামেরায় নিরাপত্তার জন্য যা বন্দি করা হয়েছিল, সেটাই এখন পর্ন সাইটে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যবসায়ীক স্বার্থে। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন সেই ভিডিও ক্লিপ তদন্তকারী অফিসারকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এর আগে দিল্লি মেট্রোয় সিসিটিভি ফুটজের মাধ্যমে ধরা পড়া ২৫০টি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয় পর্ন ওয়েবসাইটে। প্রতিটি ভিডিও প্রায় দু থেকে আট মিনিটের ছিল।