দিল্লি থেকে পটনা মাত্র ১১ ঘণ্টায়! রাস্তা বানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক
এই রাস্তা তৈরি হলে যেমন যাত্রীরা সহজেই দিল্লি থেকে পটনা সড়ক পথেই পাড়ি দিতে পারবেন, তেমনই বাণিজ্যিক দিক থেকেও গুরুত্ব বাড়বে বিহার ও উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকার। গোটা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দিল্লি-মুম্বই বাণিজ্যিক করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই রাস্তা। সড়কপথে যোগাযোগ সহজ হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গেও।
নিজস্ব প্রতিবেদেন : দিল্লি ও পটনার মধ্যে সড়কপথে যাত্রার সময় কমছে। সেজন্য একসঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক।
সড়কপথে দিল্লি থেকে পটনার দূরত্ব ১,১০০ কিলোমিটার। সেই দূরত্ব পাড়ি দিতে এখন সময় লাগে ১৯ ঘণ্টার মতো। চলতি বছরের শুরুর দিকে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর কিছুটা সময় কমলেও, এখনও মাঝেমধ্যেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় অনেককেই। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের পরিকল্পনা, ২০১৯-এর মধ্যে সেই ১,১০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দেওয়া যাবে মাত্র ১১ ঘণ্টায়।
কীভাবে বাস্তবায়িত হতে চলেছে সেই পরিকল্পনা?
অ্যাকশন প্ল্যান অনুসারে, আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ৪টি নতুন প্রকল্প যোগ করা হবে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে তৈরি করা হবে পটনা-গাজিপুর এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়েকে যোগ করা হবে গাজিপুর-লখনউ পুর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের(ভারতের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে) সঙ্গে। ৩৫০ কিলোমিটারের পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কাজ শেষের পথে। লখনউ থেকে পটনা আসতে এখন সময় লাগে ১১ ঘণ্টার বেশি। সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের দাবি, পটনা-গাজিপুর এক্সপ্রেসওয়ে ও পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হয়ে গেলে সেই সময়টা অর্ধেক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- এক নজরে দেখে নিন কোন কোন জিনিসের দাম কমল জিএসটি হারের পরিবর্তনে
মন্ত্রক সূত্রে খবর, শুধুমাত্র পটনা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে খরচ লাগবে ২ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা যৌথভাবে বহন করবে কেন্দ্র ও রাজ্য। পাশাপাশি লখনউ শহরের আউটার রিং রোড তৈরি করবে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে ও পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েকে যুক্ত করবে এই আউটার রিং রোড। প্রকল্পের শেষ ধাপে ১৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়েকে যুক্ত করা হবে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে।
এই রাস্তা তৈরি হলে যেমন যাত্রীরা সহজেই দিল্লি থেকে পটনা সড়ক পথেই পাড়ি দিতে পারবেন, তেমনই বাণিজ্যিক দিক থেকেও গুরুত্ব বাড়বে বিহার ও উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকার। পরিবহন মন্ত্রকের দাবি, গোটা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দিল্লি-মুম্বই বাণিজ্যিক করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই রাস্তা। সড়কপথে যোগাযোগ সহজ হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গেও।