দিল্লির হিংসায় খুন আইবি অফিসার, চাঁদ বাগের ড্রেন থেকে উদ্ধার মৃতদেহ
অঙ্কিতের বাবা রবিন্দর শর্মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মারধর করে গুলিও করা হয় অঙ্কিতকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি পুলিসের কনস্টেবলের মৃত্যু পর এবার আইবি অফিসার। দিল্লির অশান্ত চাঁদবাগ এলাকার একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার হল ইন্টেলিজেন্স অফিসার অঙ্কিত শর্মার দেহ।
আরও পড়ুন-কতটা ফুলেফেঁপে উঠেছে? তৃণমূল কাউন্সিলরদের সম্পত্তি-ই পুরভোটে হাতিয়ার হচ্ছে বিজেপির!
চাঁদ বাগেই থাকেতেন অঙ্কিত। মঙ্গলবার অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে চাঁদবাগ ব্রিজের কাছে তাঁকে ঘিরে ধরে জনতা। তার পর তাঁকে খুন করে পাশের ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে পুলিসের তরফে।
Delhi: Body of Intelligence Bureau Officer Ankit Sharma found in North East district's Chand Bagh area today. pic.twitter.com/WLDG0odk6P
— ANI (@ANI) February 26, 2020
অঙ্কিতের বাবা রবিন্দর শর্মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মারধর করে গুলিও করা হয় অঙ্কিতকে।
এদিকে দিল্লির ঘটনায় ক্ষুব্ধ দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের তরফে আহতদের হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিসকে। সুপ্রিম কোর্টেও দিল্লির পুলিসের ভূমিকার সমালোচনা করেছে। বলা হয়েছে, কেউ উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিসকে। এর জন্য কারও অপেক্ষা করতে হবে না। পুলিস আগেই ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। অন্যদিকে, হিংসা থামাতে ব্যার্থ দিল্লি পুলিস এমনটাই দাবি করেছেন কেজরীবাল। সেনা নামানোর দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আধাসেনা নামলেও বুধবার নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে গোকুলপুরী, মোস্তফাবাদে। গোকুলপুরীতে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোস্তাবাদের বস্তিতে ছোড়া হয়েছে পাথর।
মঙ্গলবার সকালে নতুন করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে গোকুলপুরীর বাজারে। সোমবার ওই বাজারের অধিকাংশই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ২-৩ টি দোকান বাকি ছিল। আজ সকালে বেশ কয়েকজন হাঙ্গামাকারী এসে সেইসব দোকানও জ্বালিয়ে দেয়। আটিবিপির জওয়ানরা ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছে। অন্যদিকে, বাবরপুরে বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ। সিআরপিএফ জওয়ানরা সেখানে টহল দিচ্ছেন।
মঙ্গলবারই জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে হাঙ্গামার পর দিন যত গড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে মোট ২০ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তরপূর্ব দিল্লির ৪ জায়গায় কারফিউ জরি করা হয়েছে। আশান্ত এলাকায় নামানো হয়েছে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা। তারপরও মঙ্গলবার রাতে বিক্ষিপ্ত হিংসা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার সকালে গোকুলপুরীতে ভাঙাচোরা বাজারে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি মোস্তাফাবাদের বস্তিতে পাথর ছোড়া ও অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন-পরকীয়ায় বাধা, নিমতায় 'প্রেমিকদের' ডেকে এনে স্বামীকে পেটাল স্ত্রী!
এদিন রাতেই জাফরাবাদ, সিলমপুর-সহ অন্যান্য জায়গা ঘুরে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কথা বলেন ওইসব এলাকার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে। রাজধানীর পরিস্থিতি শান্ত করা ও পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর ভার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, কোনও রকম হাঙ্গামা বরদাস্ত করবে না সরকার। পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিস ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে অশান্ত এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে।