Delhi Court Blast: দিল্লির রোহিনী আদালত চত্বরে বিস্ফোরণের পেছনে DRDO-র বিজ্ঞানী
পুলিসের দাবি, বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির রোহিনী আদালত চত্বরে বিস্ফোরণকাণ্ডে শেষপর্যন্ত গ্রেফতার এক বিজ্ঞানী। প্রতিবেশী এক আইনজীবীর সঙ্গে মামলার জেরে অতিষ্ট ওই বিজ্ঞানী আইনজীবীর ক্ষতি করতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন বলে মনে করছে পুলিস।
রাজধানীর পুলিস কমিশনার রাকেশ আস্থানা আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ভারতভূষণ কাটারিয়া নামে ডিআরডিও-র ওই বিজ্ঞানীর উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশী আইনজীবীকে শিক্ষা দেওয়া। বহুদিন ধরেই ওই আইনজীবীর সঙ্গে তার মামলা চলছিল। এনিয়ে তাকে জেরা করা হচ্ছে।
রাকেশ আস্থানা আরও জানিয়েছেন, গত ৯ ডিসেম্বর রোহিনী কোর্ট কমপ্লেক্সে একটি ছোটখাটো বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু শার্প নেইল ও অন্যান্য সরঞ্জাম। এছাড়াও ঘটনার দিন কোর্টে আসা ১০০০ গাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে ১০০ সিসিটিভি ক্য়ামেরার ফুটেজ।
আরও পড়ুন-Omicron: অনেক পেছনে ডেল্টা ভ্য়ারিয়েন্ট, ফের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুন বেশি
পুলিসের দাবি, বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটাতে যে ডেটোনেটরটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটিরই বিস্ফোরণ হয়েছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণ হয়নি। তা যদি হতো তা হলে বিস্ফোরণের তীব্রতা আরও মারাত্মক হতো। বিস্ফোরক বহনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ল্যাপটপ ব্যাগ। সেটিতে ছিল মুম্বইয়ের একটি কোম্পানির ট্য়াগ। সেই কোম্পানি তদন্তে সাহায্য করছে। আইনজীবীর ভেস ধরে আদালত চত্বরে প্রবেশ করে ভরত ভূষণ। বিস্ফোরণের পর পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। খোঁখবর করে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে ওই বিস্ফোরক পেয়েছিলেন ভরতভূষণ।