আয়কর রিটার্ন দাখিল করে সোজা জেলে গেলেন এই ব্যক্তি
কয়েকদিন নজরদারি চালাতেই সত্যি হয় সন্দেহ। পুলিশ জানতে পারে, বিশাল গাঁজা চক্রের সঙ্গে যুক্ত রাচাপ্পা। গোটা বেঙ্গালুরু শহরে গাঁজা সরবরাহ করে সে। গাঁজা বিক্রির জন্য বেশ কয়েকজন খুচরো বিক্রেতাও কাজ করে তাঁর অধীনে।
ওয়েব ডেস্ক: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বছরের পর বছর ভালই চলছিল গাঁজার কারবার। গোল বাঁধল আয়কর রিটার্ন ফাইল করে। সেই সূত্র ধরেই বেঙ্গালুরু পুলিশের জালে ৩৪ বছরের রাচাপ্পা রঙ্গা।
রাচাপ্পাকে গ্রেফতারির পর তল্লাশি চালিয়ে ২৬ কিলোগ্রাম গাঁজা ও ৫ লক্ষ নগদ উদ্ধার করেছে বেঙ্গালুরুর কোরামঙ্গল থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর শাগরেদ শ্রীনিবাসকেও। তবে চক্রের মূল চাঁই শাশুকে খুঁজছে পুলিশ।
চলতি অর্থবর্ষে মোট ৪০ লক্ষ টাকার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন রাচাপ্পা। এর পরই আয়কর গোয়েন্দাদের নজরে পড়ে সে। রিটার্নে এই বিপুল আয়ের কোনও উত্স দেখাননি রাচাপ্পা। তাই তাঁকে তলব করেন আয়কর আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদেও আয়ের উত্স নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এর পরই পুলিশকে ওই ব্যক্তির ওপর নজর রাখার পরামর্শ দেয় আয়কর বিভাগ।
আরও পড়ুন - অতিরিক্ত ডাল চাওয়ায়, ছাত্রের মুখে আগুন গরম ডাল ঢাললেন মিড ডে মিল কর্মী
কয়েকদিন নজরদারি চালাতেই সত্যি হয় সন্দেহ। পুলিশ জানতে পারে, বিশাল গাঁজা চক্রের সঙ্গে যুক্ত রাচাপ্পা। গোটা বেঙ্গালুরু শহরে গাঁজা সরবরাহ করে সে। গাঁজা বিক্রির জন্য বেশ কয়েকজন খুচরো বিক্রেতাও কাজ করে তাঁর অধীনে।
আদপে কর্ণাটকের চামারাজাঙ্গারার বাসিন্দা রাচাপ্পা ১২ বছর আগে শ্রমিকের কাজ করতে বেঙ্গালুরু আসেন। সেখানেই মাদকচক্রে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, কেজিপ্রতি ৩৫,০০০ টাকা দরে মাসে প্রায় ৩০ কেজি গাঁজা বিক্রি করতেন রাচাপ্পা। সেরা মানের গাঁজা বিক্রি করতেন তিনি, তাই দরও মিলত ভাল। মাসে ৪০,০০০ টাকা ভাড়া দিয়ে বেঙ্গালুরুর কনকপুরা রোডে একটি বিলাসবহুল আবাসনে থাকতেন তিনি। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নিজেকে সরকারি ঠিকাদার বলে দাবি করতেন ওই ব্যক্তি।