অশান্ত কাশ্মীরে বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা
অশান্ত কাশ্মীর। থমকে জনজীবন। প্রতিদিনই চলছে, স্বাভাবিক হওয়ার লড়াই। রক্তাক্ত ভূস্বর্গে,ক্ষতবিক্ষত শিক্ষাও। পরীক্ষার মুখে পড়ে, এবার নতুন স্ট্র্যাটেজি নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে সব পড়ুয়া পাস। সবাইকেই তুলে দেওয়া হবে পরের ক্লাসে। জ্বলছে উপত্যকা। এক দিন না, দু দিন না, দিনের পর দিন। মাসের পর মাস। স্তব্ধ জীবন।
ওয়েব ডেস্ক : অশান্ত কাশ্মীর। থমকে জনজীবন। প্রতিদিনই চলছে, স্বাভাবিক হওয়ার লড়াই। রক্তাক্ত ভূস্বর্গে,ক্ষতবিক্ষত শিক্ষাও। পরীক্ষার মুখে পড়ে, এবার নতুন স্ট্র্যাটেজি নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে সব পড়ুয়া পাস। সবাইকেই তুলে দেওয়া হবে পরের ক্লাসে। জ্বলছে উপত্যকা। এক দিন না, দু দিন না, দিনের পর দিন। মাসের পর মাস। স্তব্ধ জীবন।
ছররা বন্দুকের গুলিতে নষ্ট চোখ। কিংবা পুলিসি ব্যাটনের ঘায়ে শরীরে পড়া কালসিটে। ক্ষত গভীর। কোন পথে ফিরবে ছন্দ, তা খুঁজে পেতে চুল ছেড়ার জোগাড় সরকার-বাহাদুরের। কিন্তু পথ মেলে না। ভুগতে হয় আম কাশ্মীরিদের।...বন্ধ দোকান বাজার। দিনের পর দিন এ দেখে ফিরে আসতে হয়। আধপেটা খেয়ে, খাবার মজুত রাখতে হয় এদের। আর পড়াশোনা! এই অশান্তির মাঝে তা বিলাসিতা ছাড়া আর কী? কে বের হবে পথে?
কাঁদানে গ্যাসের শেল বুক পেতে নেবে কে? জীবন আগে না জ্ঞান, এ প্রশ্ন যখন সামনে এসে মাথা তোলে, তখন বেছে তো নিতেই হয় নিজের প্রাণকেই। তবু অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা থেকে, এবার নতুন পথ নিল মেহবুবা মুফতি সরকার।
আরও পড়ুন- ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বালিতে বিপাকে ISI!
চলতি শিক্ষাবর্ষে ক্লাস ফাইভ থেকে নাইন এবং ক্লাস ইলেভেনের সব পড়ুয়াকে এবার পাস করিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষায় ফেল করার প্রশ্নই থাকছে না এবং পড়ুয়াদের পরের ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে। জম্মু কাশ্মীরের সবকটি সরকারি স্কুল এবং বাছাই করা প্রাইভেট স্কুলে এই নির্দেশ কার্যকর হবে। ক্লাস এইট, নাইন ও ইলেভেন সহ বাকি সব ক্লাসের ক্ষেত্রেই টার্ম-টু পরীক্ষা এবারের জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে। ক্লাস ফাইভ থেকে এইট পর্যন্ত নো ডিটেনশন পলিসি অর্থাত্ পাস- ফেল প্রথা রাখা হচ্ছে না চলতি শিক্ষাবর্ষে। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এই নির্দেশাবলী সব স্কুলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকমাসে অশান্ত কাশ্মীরে প্রায় সব স্কুলই ছিল বন্ধ। পড়াশোনা প্রায় কিছুই হয়নি। এমন অবস্থাতেও এই সপ্তাহ থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছিল। পড়ুয়াদের টানতে সিদ্ধান্ত হয় যে, সিলেবাসে শুধু পঞ্চাশ শতাংশের ওপরই পরীক্ষা হবে। এবার ক্লাস টেন ও টুয়েলভে পাস না করতে পারলে, মার্চে ফের আরেকটি পরীক্ষায় বসারও সুযোগ দেওয়া হয়। তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছিল, কোন প্রস্তুতির ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষা?
শেষপর্যন্ত তাই ছাত্রছাত্রীদের স্বস্তি দিয়ে, সবাইকেই পাস করিয়ে দেওয়ার নয়া সিদ্ধান্ত নিল মুফতি সরকার।