প্রথম সফরেই মোদীর বাজিমাত, ব্রিকস ব্যাঙ্কের সভাপতিত্ব করবে ভারত
প্রথম কূটনৈতিক সফরেই সাফল্য পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবার তৈরি হচ্ছে ব্রিকস ব্যাঙ্ক। যার প্রধান কার্যালয় হবে চিনের বাণিজ্য নগরী শাংহাইতে। তবে প্রস্তাবিত প্রথম ব্রিকস ব্যাঙ্কের সভাপতিত্ব করবে ভারত। গতকাল ব্রাজিলের ফোর্টালিজায় আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র। এছাড়া সম্মেলনে সন্ত্রাসদমন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রথম কূটনৈতিক সফরেই সাফল্য পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবার তৈরি হচ্ছে ব্রিকস ব্যাঙ্ক। যার প্রধান কার্যালয় হবে চিনের বাণিজ্য নগরী শাংহাইতে। তবে প্রস্তাবিত প্রথম ব্রিকস ব্যাঙ্কের সভাপতিত্ব করবে ভারত। গতকাল ব্রাজিলের ফোর্টালিজায় আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র। এছাড়া সম্মেলনে সন্ত্রাসদমন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ব্রিকস সম্মেলনই নরেন্দ্র মোদীর প্রথম বিদেশ সফর। কূটনৈতিকভাবে তিনি কতটা সফল তার প্রথম পরীক্ষাও এটি। ফলে বিশ্বের বহু দেশের চোখ রয়েছে মোদীর এই সফরের দিকে। দুদিনের সফরের প্রথম দিনের যা ফলাফল তাতে সফল মোদী। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি উন্নয়নের জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আদলে একটি ব্যাঙ্ক গড়ে তুলতে চায়। প্রথম থেকেই পাঁচ হাজার কোটি ডলারের প্রস্তাবিত ব্যাঙ্কে সদস্যরাষ্ট্রগুলির সমান অংশীদারিত্বের দাবি তুলেছিল নয়াদিল্লি। মোদীর সেই প্রস্তাবে মেনে নিলেও, সম্মেলনে ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয় নয়াদিল্লিতে করার আর্জি খারিজ হয়ে যায়। ঠিক হয়েছে ব্রিকস ব্যাঙ্কের হেড কোয়ার্টার হবে চিনের শাংহাই শহরে। তবে ব্যাঙ্কের প্রথম সভাপতি হবে ভারত।
এছাড়া সন্ত্রাস প্রসঙ্গেও নিজের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। আশি মিনিটের দীর্ঘ বৈঠকের পর মোদী টুইট করেন বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ। মানস- সরোবর কৈলাশ যাত্রার বিকল্প রুট বের করা সম্ভব কিনা তা দেখতেও আবেদন জানিয়েছেন মোদী। নরেন্দ্র মোদীর আবেদনে সাড়া দিয়ে জিনপিং জানিয়েছেন সম্ভাব্য সবদিক খতিয়ে দেখা হবে। চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে সীমান্ত সমস্যা। তবে আশাবাদী মোদী জানিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান বের করা গেলে তা বিশ্বে নজির তৈরি করবে । ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব এগিয়ে নিয়ে যেতে চান জিনপিংও। বলেছেন যখনই চিন-ভারত মুখোমুখি হয় তখনই তাকিয়ে থাকে গোটা বিশ্ব। দুদেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে বেইজিং যে আগ্রহী তা ধরা পড়েছে জিনপিংয়ের উষ্ণতায়।