দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই ৩ কৃষি বিলে সম্মতি দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি

নিয়ম অনুযায়ী এখন এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কেন্দ্র  

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Sep 27, 2020, 07:50 PM IST
দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই ৩ কৃষি বিলে সম্মতি দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদে বিরোধীরা তোলপাড় করেও রুখতে পারেনি কৃষি বিল। সংখ্যার জোরে তা লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস করিয়ে নিয়েছে সরকার। এবার ওই বিলে সম্মতি দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতিও। ফলে আইনে পরিণত হল তিনটি বিল। নিয়ম অনুযায়ী এখন এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন-নগদে ২৬০ কোটি টাকা জমা! সারদাকাণ্ডে আয়কর দফতরকে চিঠি দিয়ে নথি চাইল সিবিআই

বিরোধী সাংসদদের হইচইয়ের মধ্যেই এবার বাদল অধিবেশনে পাস হয়েছে  কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন বিল, অত্যাবশ্য়ক পণ্য আইন সংশোধন বিল ও কৃষিপণ্যের দাম সংক্রান্ত বিল। রাজ্যসভায় বিলটি আটকাতে না পেরে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবারও করে বিরোধীরা। পাশাপাশি, এর বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়েছে অকালি দল। এসব হয়েছে বিল পাস হয়ে যাওয়ার পর। তারপরেও এনিয়ে দেশের  বহু জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে চাষিরা। বাংলায় রাস্তায় নেমেছে তৃণমূলও। সরকার তার অবস্থানেই অনড়। কেন্দ্রের দাবি, এই বিলে উপকৃত হবেন চাষি ও ব্যবসায়ী-দুপক্ষই।

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নেমেছে পঞ্জাবের কৃষকদের একশো সংগঠন। কোনও দলের পতাকা ছাড়াই তাঁরা এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সামিল হয়েছে তারা। উদ্দেশ্য, সরকারকে দেখানো পাটির মদত ছাড়াও বিক্ষোভ দেখাতে পারে কৃষকরা। তাদের দাবি, সরকারে যে বিল পাস করছে তাতে মুনাফা করবে ব্যবসায়ীরা। কৃষকরা দেশের যে কোনও জায়গায় কৃষি পণ্য বিক্রি করতে পারবে বলে সরকার যে দাবি করছে তা আগেও করা যেত। নতুন কী হল! বরং কৃষিক্ষেত্রে অবাধ প্রবেশ ঘটবে কর্পোরেটদের। মজুত করার সীমা উঠে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সেই য়ুযোগ নিয়ে অত্যাবশ্য়কীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে। অন্যদিকে,বিরোধীদের দাবি ছিল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে হবে বেসরকারি সংস্থাকেও। তা নাহলে তারা যে চাষির কাছে কম দাম পাবে তার কাছ থেকেই কৃষি পণ্য কিনবে ব্যবসায়ীরা। মার খাবে অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন-'মহিলাদের গায়ে হাত, শাড়িও টেনে খুলে দেওয়া হয়', বারুইপুরে অনুপমকে ঘিরে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

সরকারের দাবি, কৃষিপণ্যে সহায়কমূল্য তুলে নেওয়া হয়নি। ২২টি পণ্যের ন্যূনতম সহায়কমূল্য দেওয়া হবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় কনজিউমার অ্যাফেসার্স দফতরের মন্ত্রী ডি আর দাদারাও বলেন, দেশের আইনে মজুত করার ক্ষেত্রে সীমা নির্দিষ্ট থাকায় কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি হচ্ছিল। নতুন এই আইনে চাষি ও ক্রেতা দুপক্ষই লাভবান হবে। 

.