জয়পুর-দিল্লি হাইওয়ে অবরোধ কৃষকদের, ঘোষণা অনশনের; বৈঠক অমিত-তোমরের
কৃষক আন্দোলনের নেতা গুরনাম সিংহ চৌধুরি জানান, আইন প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্ন নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আঠারো দিন ধরে দিল্লির সীমানা অবরোধ করে রয়েছেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদল। কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে ন'ঘণ্টার অনশনের ডাকও দিয়েছেন তাঁরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও অনশনে সামিল হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আছে আজ সোমবার।
কৃষক আন্দোলনের নেতা গুরনাম সিংহ চৌধুরি জানান, আইন প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্ন নেই। যত দিন যাচ্ছে, ততই আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন দেশের অন্যান্য প্রান্তের কৃষকেরাও।
আজ রাজস্থান থেকে ট্র্যাক্টর মিছিল করে এক দল কৃষক দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন। তাঁদের রাজস্থান-হরিয়ানা সীমান্তে শাহজাহানপুরের কাছে আটকে দিয়েছে মনোহরলাল খট্টরের প্রশাসন। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন ওই কৃষকেরা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে।
আজ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষকদের সম্মান করে। কিন্তু স্পষ্ট করা দরকার, কৃষি আন্দোলনকে সামনে রেখে ফায়দা তুলতে নেমেছে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনে কৃষক নেতাদের অজানতেই মাওবাদীরা ঢুকে পড়েছে বলে আজ ফের অভিযোগ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। বিরোধীরা বলছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যাঁরা সরব, তাঁদের কখনও খালিস্তানি, কখনও পাকিস্তান ও চিনের এজেন্ট, কখনও মাওবাদী বা টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের সদস্য বলা হচ্ছে। আন্দোলনে কৃষকেরাই না-থাকলে কাদের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
also read: গেরুয়া ঝড়কে 'হাত' দেখিয়ে থামাল মরুর রাজ্য়! হারল বিজেপি, জিতল কংগ্রেস