Farmers Protest ভাঙতে চাইছে কেন্দ্র; দ্রুত দিল্লির ৩ সীমান্তে পৌঁছন, কর্মীদের ডাক SAD-র
বিক্রম সিং বলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে যাদের প্রাণ গিয়েছে তাদের আত্মাহুতি যাতে বিফলে না যায় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঙ্ঘু, টিকরি সহ দিল্লির কয়েকটি সীমান্তে আজ 'এলাকার' লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কৃষকরা। ওইসব এলাকার লোকজন এসে আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে বলে। পাশাপাশি গাজিপুর সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে বলেছে পুলিস। এর মধ্যেই দলের কর্মী ও যুব মোর্চার সদস্যদের দ্রুত দিল্লির ৩ সীমান্তে গিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিল শিরোমনি অকালি দল।
চণ্ডীগড়ে আজ দলের নেতা বিক্রম সিং মাজিথিয়া শিরোমনি অকালি দল(SAD) কর্মী ও ইয়ুথ অকালি(YAD) দলের কর্মীদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, দ্রুত সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুরে ধরনাস্থলে ফিরে আসুন। কারণ আগের থেকে এখন অকালি দল কর্মীদের অনেক বেশি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-ইমামরা ২৫০০ পাচ্ছে, পুরোহিতরা ১০০০ টাকা? কেন এই বৈষম্য? প্রশ্ন Suvendu-র
বিক্রম সিং বলেন, আমি জানি দিল্লির সীমান্তে এখনও আপনাদের অনেকেই রয়েছেন। কৃষক আন্দোলন(Farmers Protest) ভেঙে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এর সঙ্গে জড়িত হরিয়ানা বিজেপি। কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে যাদের প্রাণ গিয়েছে তাদের আত্মাহুতি যাতে বিফলে না যায় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক আন্দোলনকে সফল করা বা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার মতো বড় আর কিছু হতে পারে না।
শিরোমনি অকালি দল নেতার অভিযোগ, কৃষক আন্দোলন ভাঙার জন্য অত্যন্ত কাঁচা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আন্দোলন(Farmers Protest) ভাঙতে লুম্পেনদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল কিষাণ নেতা রাকেশ টিকায়েতকে টার্গেট করা হয়েছিল। আজ একই জিনিস করা হয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্তে। সরকার আন্দোলনস্থলে জল, বিদ্যুত কেটে দিয়েছে। খাবার সরবারহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে আন্দোলনে শক্তিশালীই হবে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় হল কেন্দ্র এক জাতের সঙ্গে অন্যকে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার গণতন্ত্র দিবসে গোলমালের জন্য কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে UAPA আইনে মামলা করা হয়েছে। এর তীব্র বিরোধিতা করেন শিরোমনি অকালি দল(SAD) নেতা।
আরও পড়ুন- পদত্যাগ করলেন চন্দননগরের CP হুমায়ুন কবীর
এদিকে, পুলিসের ভয় দেখিয়ে যে কৃষক আন্দোলন ঠেকানো যাবে না তা আর ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষক নেতারা। শুক্রবার স্বরাজ পার্টির নেতা যেগেন্দ্র যাদব বলেন, মোদিজি ও যোগীজির একটা কথা জেনে রাখা উচিত, হার স্বীকার করে কৃষকরা ঘরে ফিরবে না। ট্রাক্টর মিছিলে যে অশান্তি হয়েছে তার জন্য আমরা লজ্জিত। হিংসা যে কোনও আন্দোলনকে ধাক্কা দেয়। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না কারা গণতন্ত্র দিবসে গোলমাল পাকিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যাদের আমরা আন্দোলন থেকে সবসময়েই বাইরে রাখতে চেয়েছিলাম তারাই ওই কাজ করেছে।