শুধুমাত্র 'মুসলিম' হওয়ার অপরাধে আবেদনকারীর আবেদন খারিজ করল মুম্বইয়ের নামী সংস্থা
আবেদনকারী জাতে মুসলিম। শুধু সেই কারণে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বইয়ের এক সংস্থা। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী যুবক জিশান আলি খান। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: আবেদনকারী জাতে মুসলিম। শুধু সেই কারণে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বইয়ের এক সংস্থা। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী যুবক জিশান আলি খান। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে।
গত ১৯ মে মুম্বইয়ের ও হিরে রপ্তানিকারী সংস্থায় চাকরির আবেদন করেন এমবিএ জিশান। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সংস্থার জবাব আসে তারা শুধু অ-মুসলিম আবেদনকারীদেরই নিয়োগ করে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে সংস্থার জবাবে লেখা ছিল, "আপনার আবেদনের জন্য ধন্যবাদ। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমরা শুধু অ-মুসলিম আবেদনকারীদেরই নিয়োগ করি।"
জিশান বলেন, "আমি চাকরি খুঁজছিলাম, জানতে পারি হরি কৃষ্ণ এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডে লোক নেওয়া হচ্ছে। ভেবেছিলাম এরকম একটা সংস্থার সঙ্গে কেরিয়ার শুরু করার সুযোগ ছাড়া যায় না। সেই অনুযায়ী গত পরশু দিন বিকেল ৫টা ৪৫ নাগাদ আমি চাকরির আবেদন করি। ১৫ মিনিটের মধ্যে সংস্থার তরফে জবাবে জানানো হয় তারা মুসলিমদের নিয়োগ করে না। পড়ে এতটাই অবাক হই যে আমি স্ক্রিনশট নিয়ে তখনই ফেসবুকে পোস্ট করি। এমন একটা সময় যখন নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, মেক ইন ইন্ডিয়া ক্যাম্পেনের সাহায্যে বিনিয়োগ আনছেন, সেই সময় দেশের অন্যতম বড় হিরে রপ্তারিকারী সংস্থা শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে আবেদনকারীদের খারিজ করে দিচ্ছে।"
অন্যদিকে, হরি কৃষ্ণ এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে ইমেলে জানানো হয়েছে, "একজন ট্রেনির দ্বারা এই ভুল হয়ে গিয়েছে। যার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই। আমাদের অফিসে ৬১ জন কর্মী রয়েছেন, যার মধ্যে এইচআর টিমে একজন মুসলিম রয়েছেন।"
ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজের সভাপতি নাসিম আহমেদ জানান, "আজ সকালেই পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আমরা ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলবো। ওদের উত্তর শোনার পর কী করা হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঘটনার তদন্ত করা হবে। যদি সত্যি হয় , তবে তা খুবই দুঃখজনক।" অন্যদিকে, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি জানান, "একজন মানুষের জাত, ধর্ম দিয়ে কখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত্ নয়। আমাদের সংবিধানে এমন কোনও নিয়মের উল্লেখ নেই।"