Jharkhand BJP leader Suspended: মূত্র চাটতেও বাধ্য হয়েছি, পরিচারিকার উপর বিজেপিনেত্রীর অকথ্য অত্যাচার
বছর আঠাশের সুনীতা প্রায় বছর দশেক আগে পরিচারিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন পাত্র পরিবারে। সীমার মেয়েকে দেখাশোনা করতেন তিনি। কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অকথ্য অত্যাচার শুরু হয় তার উপর
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যজুড়ে বিরোধীদের তুমুল হইচইয়ের পর ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রকে সাসপেন্ড করল দল। পরিচারিকার উপরে অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল গেরুয়া শিবির। সীমার বিরুদ্ধে পরিচারিকার উপরে অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর রাজ্য তোলপাড় করেছিল অন্যান্য দলগুলি। স্বভাবতই যথেষ্ট চাপে ছিল বিজেপি। শেষপর্যন্ত সীমাকে সাসপেন্ড করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করল বিজেপি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সীমার স্বামী মহেশ্বর পাত্র একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার।
আরও পড়ুন- সিবিআই-ইডি নিয়ে এবার পাল্টা প্রচারে বিজেপিও! সিদ্ধান্ত 'বৈদিক' শিবিরে
সম্প্রতি পরিচারিকার উপরে নির্যাতনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল ঝাড়খণ্ডে। সেই ভিডিয়োর মাধ্যমেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে বিজেপি নেত্রীর অমানবিক কীর্তিকলাপ। নড়েচড়ে বসে ঝাড়খণ্ড বিজেপি। সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন ঝাড়খণ্ড বিজেপির সভাপতি দীপক প্রকাশ। তারপরেই সীমা পাত্রকে সাসপেন্ড করল দল। ভিডিয়োটি ভাইরাল হবার পরে বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন নেট নাগরিকরাও।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পরিচারিকার নাম সুনীতা। বছর আঠাশের সুনীতা প্রায় বছর দশেক আগে পরিচারিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন পাত্র পরিবারে। সীমার মেয়েকে দেখাশোনা করতেন তিনি। কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অকথ্য অত্যাচার শুরু হয় তার উপর। বর্তমানে ওই পরিচারিকা ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর। এমনকি এখনও ঠিকভাবে কথা বলার অবস্থাতেও নেই তিনি। ওই অবস্থাতেই হাসপাতাল থেকে সুনীতা ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার উপর বিজেপি নেত্রীর অত্যাচারের কথা। সুনীতা জানিয়েছেন পরিচারিকার কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সীমা তার উপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করেন, চলত যথেচ্ছ মারধর, ভেঙে দেওয়া হয় তার দাঁতও। এমনকি জোর করে তাকে খেতে বাধ্য করা হয়েছে প্রস্রাবও। তবে এত অত্যাচারের পরেও কিন্তু সীমার ছেলে আয়ুষ্মানকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি সুনীতা। তার বক্তব্য অনুযায়ী সীমার ছেলেই প্রাণ বাঁচিয়েছে তার।