সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত; EWS সংরক্ষণের পক্ষে ৩ বিচারপতি, বিরুদ্ধে ২
বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে সাধারণ শ্রেণীর মানুষদের সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে ন্যায্যতা দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং রবীন্দ্র ভাট সংরক্ষণের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বলেছিলেন যে এটি মৌলিক ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে সাধারণ শ্রেণির মানুষকে দশ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের মধ্যে চারজন বিচারপতি EWS সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ১০৩ তম সংবিধান সংশোধনীর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ৩০ টিরও বেশি পিটিশন দাখিল করা হয় যা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ (EWS) এর মানুষদের জন্য দশ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করে। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ শুনানিতে রায় সংরক্ষণ করেন।
পাঁচ জনের মধ্যে তিনজন বিচারপতি সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন
বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী EWS সংরক্ষণ সম্পর্কিত ১০৩ তম সাংবিধানিক সংশোধনী বহাল রেখে বলেছেন যে এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করে না। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালাও ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে EWS সংরক্ষণকে সমর্থন করেছেন।
প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত অর্থনৈতিক ভিত্তিতে সাধারণ শ্রেণীর মানুষদের সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। পাশাপাশি বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট সংরক্ষণের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বলেছিলেন যে এটি মৌলিক ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, এসটি, এসসি এবং ওবিসিকে সংরক্ষণের বাইরে রাখা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: নোটাকে হারিয়ে আন্ধেরি পূর্বে জয়ি উদ্ধবপন্থি শিবসেনা
২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় সংরক্ষণ করে
সুপ্রিম কোর্ট, তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সহ সিনিয়র আইনজীবীদের যুক্তি শোনার পরে, ২৭ সেপ্টেম্বর EWS সংরক্ষণ সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে কিনা সেই বিষয়ে আইনি প্রশ্নে তার রায় সংরক্ষণ করে। শিক্ষাবিদ মোহন গোপাল ১৩ সেপ্টেম্বর বেঞ্চের সামনে বিষয়টি নিয়ে তর্ক করেন এবং EWS কোটা সংশোধনের বিরোধিতা করেন। এটিকে ‘পিছনের দরজা দিয়ে’ সংরক্ষণের ধারণাকে ধ্বংস করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা সংরক্ষণ কার্যকর করা হয়েছিল
২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে ১০৩ তম সাংবিধানিক সংশোধনীর অধীনে, শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে সাধারণ শ্রেণীর লোকদের দশ শতাংশ সংরক্ষণ (EWS সংরক্ষণ) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে সহ অনেকেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করে।